বিশ্ববিদ্যালয়ে মান সম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ এবং জঙ্গিবাদের সাথে জড়িতরা যাতে নিয়োগ না পায় সে জন্য লিখিত পরীক্ষা এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হবে। সরকারের এমন নির্দেশনায় শিক্ষক নেতারা বিরোধিতা করলেও শিক্ষাবিদ ডক্টর জাফর ইকবাল এটাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
তার মতে, এখন যেমন রাজনৈতিক চাপ ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ হয়, লিখিত পরীক্ষা চালু হলে বন্ধ হবে সেটা।
অনিয়ম এড়াতে শিক্ষক নিয়োগে মৌখিকের সাথে লিখিত পরীক্ষা ও জঙ্গিবাদে লিপ্ত অপরাধীদের নিয়োগ ঠেকাতে শিক্ষক নিয়োগের আগে পুলিশ ভেরিফিকেশন করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সরকারি এই নির্দেশনা পত্রিকায় ছাপা হওয়ার পর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। দেশের স্কুল কলেজে পরীক্ষা নিয়েই শিক্ষক নিয়োগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ে হবেনা কেন, এমন প্রশ্ন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদের।
তিনি বলেন, ‘ইউসি কিংবা যে কমিশনটা করা হয়েছে তারাই সেগুলো আরো বিবেচনা করে দেখবে প্রয়োজন আছে কিনা। এখানে প্রাথমিক একটা কথা প্রচার হয়েছে যে, আমরা এমনটা চাচ্ছি।’
তবে শিক্ষক নেতারা বলছেন, মেধা যাচাইয়ের জন্য লিখিত পরীক্ষার যৌক্তিকতা নেই।
তবে শিক্ষাবিদ জাফর ইকবাল বলছেন, পরীক্ষা নেয়া হলে কারো পছন্দমতো শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হবে। নিয়োগ পাবে প্রকৃত মেধাবীরা।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় ধরাধরির ব্যাপার আসছে, রাজনৈতিক চাপের ব্যাপার আসছে এবং অনেক সময় কেউ কেউ তার নিজের পছন্দের ছাত্রকে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। এইগুলো আমি এত বেশি দেখেছি যে, আমার মনে হচ্ছে যে, এইগুলো ঠেকানোর একটা ভালো উপায় হলো একটা লিখিত পরীক্ষা। এটা হলে একটা ছেলে বা মেয়ে প্রমাণ করতে পারবে যে, হ্যাঁ, আমি ভালো জানি।’
অবশ্য শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় যেহেতু স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান তাই সরকার কিছুই চাপিয়ে দিবে না। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যার যার অবস্থানে থেকে সিদ্ধান্ত নেবে।