অন্তর হাছান, সারা দেশ ডেস্ক, সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম:♦নারায়ণগঞ্জের বন্দরের একটি বাসায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। দগ্ধরা হলেন- রেহান (৪০), তার স্ত্রী মায়া( ৩২) ও মেয়ে মরিয়ম(৩)।
♦তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে বন্দরের স্বল্পেরচক এলাকার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে ওই টিনসেড বাড়ির ৫টি কক্ষের চাল উড়ে গেছে। গ্যাস লাইন থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তপক্ষ।
♦এ ঘটনায় স্বল্পেরচক এলাকার অসি মিয়ার ছেলে সাখান ও সাইফুল নামে দুইভাইকে আটক করেছে পুলিশ।পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বন্দরের স্বল্পেরচকের বিল্লাল মিয়ার বাড়িতে স্ত্রী এবং কন্যাকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন মাটিকাটা শ্রমিক রেহান। পাশের বাড়ির একটি গ্যাস রাইজারের লিকেজ থেকে গ্যাস নির্গত হয়ে ওই ঘরে আবদ্ধ থাকত বলে বাড়ির মালিক জানান। এ নিয়ে পাশের বাড়ির মালিক সাখান ও সাইফুলের সঙ্গে বিল্লালের ঝগড়াঝাটি হয়। লিকেজ বন্ধ করার জন্য তাদের মধ্যে কয়েকবার দেনদরবারও হয়।কিন্তু গ্যাস লিকেজ বন্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেন বিল্লাল। ওই গ্যাস থেকেই বিস্ফোরণ ঘটে বলে তিনি জানান।
♦পাশের কক্ষের সেলিম জানান, মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৬ টার দিকে বিকট শব্দ শুনে তিনি ঘুম থেকে জেগে উঠেন। ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন রেহান ও তার স্ত্রী বিবস্ত্র অবস্থায় আগুন আগুন বলে চিৎকার করছেন । এসময় অন্যান্য ভাড়াটেদের সহায়তায় তিনি তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
বন্দর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন জানান, আপাতত গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্তের পর বিস্ফোরণের প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
♦বন্দর থানা ওসি আবুল কালাম জানান, স্বল্পেরচক এলাকার ওই বাড়িতে গ্যাস রাইজার থেকে আগুনের সুত্রপাত বলে আপাতত ধারণা করা হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাশের বাড়ির দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি জানান, রাতভর ফ্যান চলার কারণে গ্যাস রাইজারের লিকেজ থেকে গ্যাস বেরিয়ে পাশের রুমে গিয়ে জমাট হয়। ভোরে সিগারেট জ্বালাতে দিয়াশলাই ধরাতেই আগুন লেগে বিস্ফোরণ হয়। এতে একই পরিবারে ৩ জন দগ্ধ হন। আহত রেহান চাঁদপুর জেলার মতলব থানার বেগমপুর গ্রামের মৃত সিরাজ মিজির ছেলে। তারা ১০ বছর ধরে বন্দরে বসবাস করছেন। তিনি পেশায় একজন দিনমজুর। মাটি কাটার কাজ করেন।