রায়হান,স্বদেশ নিউজ ২৪.কম: টানা ৪ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো চিটাগাং ভাইকিংস। রাজশাহী কিংসকে হারালো ১৯ রানে। ভাইকিংসের দেয়া ১৯১ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তুলতে সক্ষম হয় কিংস। অলরাউন্ড নৈপূণ্যে ম্যাচসেরা হয়েছেন মোহাম্মদ নবী। টানা হারে দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া তামিম বাহিনী এদিন জয় পেয়েছে বেশ দাপুটে। ফলে স্বস্তি মিললো চিটাগাং ভাইকিংসের। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে অবশ্য ভালো করতে পারেনি চিটাগাং ভাইকিংস। ৫ রানে তামিম ইকবাল ও ৩৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে বিদায় নেন ডোয়াইন স্মিথ। হাল ধরতে পারেননি গ্রান্ট এলিয়ট ও জহুরুল ইসলামও। ৬৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে স্বাগতিকরা। সেখান থেকে ভাইকিংসদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন এনামুল হক বিজয় ও মোহাম্মদ নবী। ১০৫ রানের জুটিতে বিপর্যয় কাটিয়ে বড় সংগ্রহ এনে দেন দলকে। অর্ধশত তুলে নেন বিজয়। তবে সহযোদ্ধাকে ছাড়িয়ে যান মোহাম্মদ নবী। ৩৭ বলের ৮৭ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন এ আফগান অলরাউন্ডার। তার কল্যাণেই দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৯০। জবাবে শুরুটা দারুণ হয় রাজশাহী কিংসের। উদ্বোধনী জুটিতেই তুলে ফেলে ৪৪ রান। মুমিনুলের ২২, প্রথম দিন সুযোগ পেয়েই জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৩৮ ও উমর আকমলের ২১ রান পাহাড় ডিঙানোর সড়কেই রাখে কিংসকে। ১২ ওভারে ৩ উইকেটে ১১২ রান থেকে হাল ধরেন সাব্বির রহমান। আগের ম্যাচেই দারুণ সেঞ্চুরি হাঁকানো সাব্বির এদিনও ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের শাসন শুরু করেন। কিন্তু ৪৬ রান করে সাব্বির আউট হলে ব্যাকফুটে চলে যায় রাজশাহী কিংস। লম্বা ব্যাটিং লাইনআপও আর কক্ষপথে আনতে পারেনি কিংসদের। এক্ষেত্রে অবশ্য তাসকিন আহমেদের ৫ উইকেট শিকারের ভূমিকাও যথেষ্ট। শেষ বেলায় তাই স্যামি, মিরাজ, সিরিবর্ধনেদের অসহায় আত্মসমর্পন আর ভাইকিংসদের উল্লাসের চিত্রায়ন ঘটে মাঠে।