দেশে বর্তমানে ৫ লাখের অধিক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে নিয়ে যেখানে সরকার সংকটে, তখন নতুন করে আর একজনও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ চাননা কক্সবাজারের স্থানীয়রা। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর পাশাপাশি কঠোর নজরদারির দাবি তাদের।
আর সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি ও কোস্টগার্ড বলছে, অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে তারা। মিয়ানমারের সহিংসতার পর থেকে প্রতিদিন কোন না কোন পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গারা।
মিয়ানমারে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে রাখাইন রাজ্যের বিভিন্ন গ্রাম থেকে প্রতিদিনি রাতের আধারে সীমান্তের নাফ নদী পার হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে রোহিঙ্গারা। এসব রোহিঙ্গারা আশ্রয় নিচ্ছে পাহাড়ে কিংবা অনিবন্ধিত শরণার্থী ক্যাম্পে। ফলে নতুন করে এদেশের রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনায় শঙ্কিত কক্সবাজারের স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কয়েক স্থানীয়রা বলেন, ‘যে অবস্থা তৈরি হয়েছে তাতে আরো বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা রাতের আধারে ফাঁকফুকোড় দিয়ে কক্সবাজারে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এটি খুব উদ্বেগ জনক। রোহিঙ্গারা বিগত সময়ে রামু মন্দির হামলা সহ আনসার ক্যাম্পে হামলা চালিয়ে আনসারদের অস্ত্র লুট করেছে। রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসুক থা আমরা কোনোভাবে চাইনা।’
রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা দেশের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন রোহিঙ্গা প্রতিরোধ ও প্রত্যাবাসন কমিটির সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক চৌধুরী। তিন আরো বলেন, ‘রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশের সাথে সাথে সশস্ত্র গোষ্ঠীও আমাদের এখানে প্রবেশ করবে যাতে আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর আঘাত আসতে পারে এবং সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বৃদ্ধি পেতে পারে। সরকারকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে তাই অবশ্যই দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে।’
তবে সীমান্তরক্ষীবাহিনী বিজিবি ও কোস্টগার্ড বলছে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে তারা।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ও টেকনাফের নয়াপাড়ায় অবস্থিত দুটি রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে নিবন্ধিত শরণার্থী রয়েছে ৩২ হাজার। এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থার জরিপে বলা হয়ে থাকে এর বাইরে প্রায় ৫ লাখ নিবন্ধিত শরণার্থী রয়েছে।