জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিরিন সোমবার দুপুরে পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালোর কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এর আগে তিনি ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন।
তার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সম্পর্কে আওয়ামী লীগের নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত রেজাউল রহিম লাল বলেন, দেশের সব নাগরিকের নির্বাচন করার অধিকার রয়েছে। তবে কেউ দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে দল তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
নাম না জানিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাবা মন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, স্বামী আবুল কালাম আজাদ মিন্টু ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র, শিরিন নিজে ছিলেন ঈশ্বরদী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, ভাই সিহান শরিফ তমাল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, চাচা আনিস শরিফ লক্ষ্মীকুণ্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
“এক পরিবার থেকে আর কত চান?”
জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক সরদার মিঠু আহমেদ বলেন, দলীয় শৃঙ্খলার বাইরে গেলে তার দায় তাকেই নিতে হবে।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স বলেন, “আমরা শেষ সময় পর্যন্ত চেষ্টা করব কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী যেন না থাকে।
“তার পরও যদি কেউ নির্বাচনে অংশ নেন তাহলে দল তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
নির্বাচনে অংশ নেওয়া সম্পর্কে শিরিন বলছেন, “নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার জন্যই আমার জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া। আমি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনের মাঠে থাকব।
“আমি শিক্ষাজীবন থেকে রাজনীতি করছি। ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে আজকের এই অবস্থান সৃষ্টি করেছি। বাবা-চাচা বা কারও দানে আমি এ অবস্থানে আসি নাই। নিজ যোগ্যতায় এই অবস্থান সৃষ্টি করেছি।”