জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের ওপর শুনানিতে অংশ নিয়ে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা দাবি করেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে এ মামলার শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১২টার পর খালেদা আদালতে পৌঁছান।
খালেদা আসার আগে অরফানেজ মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদকে জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। মামলাটির আসামি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও খালেদার বড় ছেলে তারেক রহমানের পক্ষে তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট বোরহানউদ্দিন তদন্ত কর্মকর্তাকে জেরা শেষ করেন। এর মধ্য দিয়ে এ মামলার ৩১ সাক্ষীরই সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হলো। এরপর চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার আত্মপক্ষ সমর্থনের প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমেই তাকে সকল সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণসহ তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ পড়ে শোনান বিচারক। এরপর খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শুরু করেন। তিনি আদালতকে বলেন, তিনি লিখিত কোনো বক্তব্য দেবেন না। নিজেই আদালতে বক্তব্য দেবেন। এর প্রত্যুত্তরে আদালত বলেছেন, খালেদা জিয়া যত ঘণ্টা বক্তব্য দিতে চান, দিতে পারবেন। সব বক্তব্য লিখে নেওয়া হবে। এরপর ১৫-২০ মিনিট বক্তব্য দেন খালেদা। খালেদা জিয়া আদালতকে বলেন, সারা জাতি আজ লাঞ্ছিত, নির্যাতিত। সমগ্র বাংলাদেশকে আজ এক বিশাল কারাগার বানানো হয়েছে। সব খানে চলছে অস্থিরতা ও গভীর অনিরাপত্তাবোধ। মিথ্যা ও সাজানো মামলায় বিরোধী দলের হাজার হাজার কর্মী এখন কারাগারে বন্দী। খালেদা জিয়া বলেন, তার দলের চার লাখের বেশি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ২৫ হাজারের মতো মামলা দেওয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীরা নির্যাতন ও হয়রানির ভয়ে ঘরে থাকতে পারছেন না।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায়ও আজ হাজিরা দেন খালেদা। গত ১০ নভেম্বর আদালতে হাজির হয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা দুই সপ্তাহের সময় চান। পরে আদালত ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন। কিন্তু ওই তারিখে তিনি হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় আবেদন করলে আদালত ১ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেন।