ডনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী করতে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ গত সপ্তাহে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সিনেটরদের কাছে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। তাতে এসব কথা বলা হয়েছে। শুক্রবার এ খবর প্রকাশিত হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্টে। সিনেটকে জানানো এ বিষয়ক রিপোর্টের বিষয়টি জানেন এমন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন পোস্ট বলেছে, রাশিয়া সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন কিছু ব্যক্তিকে চিহ্নিত করতে পেরেছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। তারা ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি ও অন্যদের ইমেইল হ্যাক করে পৌঁছে দিয়েছিল উইকিলিকসকে। রাশিয়া এবার ডনাল্ড ট্রাম্পকে বিজয়ী করার অভিযানে নেমেছিল। একই সঙ্গে তারা ডেমোক্রেটিক দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটনের বিজয়ী হওয়ার সুযোগ হ্রাস করার জন্য কাজ করেছিল। এ উদ্যোগে সহযোগিতা করেছিল ওইসব ব্যক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, গোয়েন্দারা অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, রাশিয়ার এবারের লক্ষ্য ছিল একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে আরেকজন প্রার্থীর পক্ষ নেয়া। তারা ট্রাম্পকে নির্বাচিত করার টার্গেট নিয়েছিল। জনমতও তাই বলে। সিআইএ এসব তথ্য সংগ্রহ করেছে বহুবিধ উৎস থেকে। সিনেটরদেরকে সিআইএর যেসব কর্মকর্তা এ বিষয়ে ব্রিফ করেছেন তারা অনেক কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, এখন একটা বিষয় পরিষ্কার। তাহলো ট্রাম্পকে নির্বাচিত করা ছিল রাশিয়ার লক্ষ্য। উল্লেখ্য, গত ৮ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়। এর আগে অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে রাশিয়াকে দোষারোপ করে। তারা বলে, রাশিয়া ডেমোক্রেটিক পার্টির বিরুদ্ধে সাইবার হামলা চালিয়েছে। এ হামলার জন্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনকে করুণ পরিণতির বিষয়ে সতর্ক করে দেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। কিন্তু রাশিয়ার কর্মকর্তারা যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ অস্বীকার করে। সর্বশেষ সিআইএ’র রিপোর্টের বিষয়ে সিআইএ মুখপাত্র কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ওদিকে ট্রাম্প বলেছেন, রাশিয়া যে সাইবার হামলা চালিয়েছে এমন অভিযোগের বিষয়ে আশ্বস্ত নন তিনি। তার ক্ষমতা হস্তান্তর বিষয়ক ট্রানজিশন টিম শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে বিদেশী হস্তক্ষেপের দাবি করা হয়েছে। তবে সরাসরি তাতে কোনো দেশের নাম উল্লেখ করা হয় নি। উল্লেখ্য, ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি ও এর নেতাদের ইমেইল হ্যাক করে তা পাস করে দেয়া হয়েছিল উইলিকসের কাছে। সেখান থেকে হিলারির নির্বাচিত হওয়ার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রচারণা হয়।