রাখাইনে রোহিঙ্গাদের কাছে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেয়ার সুবিধা দিতে মিয়ানমার সরকারের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন পশ্চিমা কতগুলো দেশের কূটনীতিকরা। শুক্রবার এমন আহ্বান জানানো হয়েছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। তবে কোন কোন দেশের কূটনীতিক এ আহ্বান জানিয়েছেন তা বলা হয় নি। রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর সেনাবাহিনীর নৃশংস হামলার পর থেকে কমপক্ষে ৮৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন ২২ হাজার রোহিঙ্গা। ওই রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর নৃশংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষোভ বাড়ছে। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী নেত্রী অং সান সুচির ওপর বাড়ছে আন্তর্জাতিক চাপ। জাতিসংঘ তো তাকে বলেই দিয়েছে, রাখাইন গিয়ে পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখার জন্য। বেসামরিক মানুষজনকে সুরক্ষা দেয়া হবে এমন আশ্বাস তাদেরকে দিতেও তার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তে সেনাবাহিনী দিয়ে ভরে ফেলেছে মিয়ানমার। তারা ওই সীমান্ত বন্ধ কওরে দিয়েছে। এসব করা হয়েছে গত ৯ই অক্টোবর সীমান্ত পোস্টে হামলার জবাবে। ওই হামলায় মিয়ানমারের ৯ প্রহরী নিহত হন। এর জবাবে সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর নৃশংস হামলা শুরু করেছে। জাতিসংঘ বলেছে, চলমান সহিংসতার আগে রাখাইনে দেড় লাখেরও বেশি মানুষ ত্রাণ সহায়তা পাচ্ছিলো। কিন্তু ৯ই অক্টোবরের পর তার মধ্যে মাত্র ২০ হাজার মানুষ কোনো ত্রাণ সহায়তা পেয়েছেন। বাকি এক লাখ ৩০ হাজার মানুষের কাছে কোনো কিছুই পৌঁছেনি।