নূন্যতম মজুরী ১৫ হাজার টাকা করার দাবীতে টানা ৮ম দিনের আন্দোলনে উত্তাল শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া। মন্ত্রীর আশ্বাসের পরও কাজে যোগ দেয়নি অনেক তৈরী পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। মঙ্গলবার সকালে শিল্পাঞ্চলের তৈরী পোশাক কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কারখানার ভেতরে কিছুক্ষণ থেকে কাজ না করে বের হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে মালিকপক্ষ। পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সরকারদলীয় নেতাকর্মীদের একের পর এক সভা-সেমিনার এবং সংবাদ সম্মেলনের পরও কাজে যোগ দেয়নি প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানার শ্রমিকরা। আজ সকাল থেকেই দাবি আদায়ে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কে বিক্ষোভ করেছে শ্রমিকরা। একপর্যায়ে শ্রমিকরা নূন্যতম মজুরী কাঠামো বাস্তবায়নের দাবীতে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ লাঠিচার্জসহ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিক্ষোদ্ধ শ্রমিকদেরকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় সড়কটিতে প্রায় ২০ মিনিটি যানচলাচল বন্ধ থাকে। পরে পুলিশ শ্রমিকদের সড়ক থেকে সড়িয়ে দিলে যান চলাচল ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে আশুলিয়ার বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকরা জটলা বেধে অবস্থান করতে দেখা গেছে। যে কোন পরিস্থিতি মোকাবেলায় সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে র্যাব ও পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন রয়েছে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহসিনুল কাদির। এদিকে শিল্পাঞ্চলের প্রায় অর্ধশতাধিক কারখানায় ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা মজুরী বৃদ্ধির দাবীতে কর্মবিরতি পালন করেছে শ্রমিকরা। দুপুরের দিকে শ্রমিকরা কাজে যোগ না দিয়ে চলে যায়। এবিষয়ে জানতে চাইলে শিল্প পুলিশ-১ এর পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, শ্রমিকদের সাথে আলোচনা করে তাদেরকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। শ্রমিক নেতাদের সাথে কথা বলে আন্দোলনের বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। এছাড়া যে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারখানাগুলোর সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনসহ র্যাবের টহল জোরাদার করা হয়েছে।