নিহত কপিল রাজধানীর ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমীর তথ্য প্রযুক্তি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিল। নিখোঁজের ৩ দিন পর , গত সোমবার রাতে বারিধারার জে ব্লকে নির্মাণাধীন একটি ভবনের পানির রিজার্ভ ট্যাংকে কপিলের লাশ পাওয়া যায়। পুলিশের ধারণা, হত্যার পর কপিলের মুঠোফোনটি নিয়ে যায় হত্যাকারীরা।
কপিলের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর থেকে কপিলের মুঠোফোন নম্বর থেকেই তাঁর মুক্তিপণের দাবিতে তাঁর বাবার মুঠোফোনে খুদে বার্তা আসে। লাশ উদ্ধারের পরও মঙ্গলবার অন্তত পাঁচটি এবং বুধবার রাত আটটার দিকে আরেকটি খুদে বার্তা এসেছে।
কপিল হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে কপিলের বড় ভাই প্রণব বাড়ৈ বাদী হয়ে ভাটারা থানায় মামলা করেছেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার এসআই জাকির হোসেন জানান, এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। নিহত ব্যক্তির মুঠোফোন থেকে একের পর এক খুদে বার্তা এলেও কেন আসামিদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না—জানতে চাইলে এসআই বলেন, যে বা যারা খুদে বার্তা পাঠাচ্ছে, তারা এক স্থান থেকে খুদে বার্তা পাঠানোর পর অন্য জায়গায় চলে যাচ্ছে। তাই তাদের গ্রেপ্তার করা যাচ্ছে না। হত্যাকারী সম্পর্কে কোনো ধারণা বা হত্যার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এ সম্পর্কে এখনো কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল একাডেমীর ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা যায় আগামী ২৭ ডিসেম্বের বেলা ১ টায় ধানমণ্ডি ৩২ এ প্রতিবাদের প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে তারা মানব বন্ধন করতে যাচ্ছে। এবং পরবর্তীতে বিচার পাওয়ার পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের বিভিন্ন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে।