দেশের অর্থনীতির সঙ্গে সঙ্গে বড় হচ্ছে খেলাপি ঋণের পরিমাণ। সরকারি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির জন্য অর্থমন্ত্রণালয়কে দোষ দিচ্ছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা। তবে এজন্য ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবকে বড় করে দেখছেন অনেকেই। আর ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা আনতে ঋণ খেলাপিদের বিচার নিশ্চিত করার পরামর্শ বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধির।
সহজ শর্তে ঋণ না পাওয়ায় থমকে আছে ব্যক্তিখাতের বিনিয়োগ। এমন সমালোচনার মধ্যেও গত কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে মন্দ ঋণ ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব মতে গত সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে মোট খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৬৫ হাজার ৭৩১ কোটি টাকার বেশি। যার মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণের পরিমাণ ৫৪ হাজার কোটি টাকা। যেখানে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিক মার্চে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৫৯ হাজার ৪১১ কোটি টাকার বেশি। তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় সবচেয়ে বেশি খেলাপি ঋণের বোঝা সরকারি ব্যাংকের কাঁধে। এই ঋণ খেলাপির অপসংস্কৃতির জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে দায়ী করছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ।
খেলাপি ঋণের সঙ্গে বেড়ে চলছে ঋণ অবলোপনের পরিমাণও। কারণ হিসেবে, বিশেষ ক্ষমতাধরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারাকেই চিহ্নিত করছেন অর্থনীতি বিশ্লেষকরা।
ব্যাংকখাতের এই নাজুক অবস্থা থেকে উত্তরণে বাংলাদেশ ব্যাংককে দূরদর্শী ভূমিকা রাখার পরামর্শ সাবেক গভর্নর ফরাস উদ্দিনের।
সেই সঙ্গে নিয়ম না মেনে ঋণ পুন:তফসিল করা ব্যাংকের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।