তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে ৭৭ রানের হার দিয়ে শুরু হয় বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড মিশন। দীর্ঘ বিরতির পর বিদেশের মাটিতে বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের মতো কন্ডিশনে ধাক্কা খাওয়াটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে। সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানান তিনি। দেশের বাইরে সর্বশেষ ২০১৪ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজে দ্বি-পাক্ষিক সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। এরপর শুধু ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশ নেয় মাশরাফি-মুশফিকরা। এর মাঝে ঘরের মাটিতে ত্রাসে পরিণত হয় বাংলাদেশ। একে একে জিম্বাবুয়ে, পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা ও আফগানিস্তানকে সিরিজ হারায় তামিম-সাকিবরা।
দেশের বাইরে এবার বাংলাদেশ দলের মিশন নিউজিল্যান্ড। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড একাদশের কাছে তিন উইকেটে হারে বাংলাদেশ। এরপর সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ক্রাইস্টচার্চে বড় ব্যবধানের হারের স্বাদ পায় মাশরাফিরা। তবে বিষয়টিকে স্বাভাবিকভাবেই নিচ্ছেন হাতুরুসিংহে। তার মতে, ভিন্ন কন্ডিশনে শুরুতে ভোগাটা স্বাভাবিক। আর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আরও কয়েকটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা দরকার ছিল বলে মনে করেন তিনি। বাংলাদেশের লঙ্কান এই কোচ বলেন, ‘দেশের মাটিতে অনেক ক্রিকেট খেলেছে ছেলেরা। এখানে এসে ধাক্কা খাওয়া স্বাভাবিক। এখানে মাত্র একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে পেরেছি আমরা। আরও প্রস্তুতি ম্যাচ পেলে ভালো হতো। ছেলেরাও এটা জানে। যাই হোক আগামী ম্যাচে নিশ্চয়ই নিজেদের পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়ন করতে পারবে।’
আগামী বৃহস্পতিবার স্যাক্সটন ওভালে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠে নামবে মাশরাফিরা। গতবছর ওয়ানডে বিশ্বকাপে এই মাঠেই স্কটল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ৩১৮ রান তাড়া করে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। এই জয়ের ইতিহাস প্রেরণা যোগাচ্ছে বাংলাদেশকে। এখানে আগের ম্যাচের চেয়ে বাংলাদেশ আরও ভালো করবে বলে আশাবাদী হাতুরুসিংহে। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপে এখানে একটা ম্যাচ খেলেছি আমরা, সেটিতে ৩২০ রান তাড়া করেছি। এই দলের বেশিরভাগ খেলোয়াড়ই ওই ম্যাচটায় ছিল। এটা তো তাদের জন্য দারুণ একটা স্মৃতিই। বড় রানের মাঠ এটি। খুবই দ্রুত আউটফিল্ড, ব্যাটিংয়ের জন্য দারুণ উইকেট। সর্বশেষ খেলায় অল্প রানে চার উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও ২৭০ রান করেছি, যা আগামী ম্যাচে আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিবে।’