গত ১২ বছরে গুলি ও গ্রেনেড হামলায় নিহত হন আওয়ামী লীগের তিন এমপি-মন্ত্রী। ২০০৪ সালে গাজীপুরে হত্যা করা হয় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। পরের বছর হবিগঞ্জে বোমা হামলায় প্রাণ হারান সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়া। এসবের এক দশক পেরিয়ে গেলেও একটি মামলারও চূড়ান্ত রায় আসেনি। এদিকে গত ক-বছরে জঙ্গি সংগঠনের নামে হত্যার হুমকি পেয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বসহ নানা শ্রেণী-পেশার অন্তত ৫০ জন।
টঙ্গীতে এক জনসভায় গুলি করে হত্যা করা হয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আহসান উল্লাহ মাস্টারকে। হাইকোর্টে আপিলের রায়ে বলা হয়, মাদক বাণিজ্য নিয়ে বিএনপির নুরুল ইসলাম সরকার ও যুবলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মহলের বিরোধের জেরে ঘটে এই হত্যাকাণ্ড। নিম্ন আদালতের রায়ে ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলেও, হাইকোর্টে আপিলের রায়ে বহাল থাকে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড।
হবিগঞ্জে জনসভা শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এস এম কিবরিয়াসহ হত্যা করা হয় তিনজনকে। এ ঘটনায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিলেটের বরখাস্ত সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান, মুফতি আব্দুল হাই, মুফতি তাজ উদ্দিনসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হয়।
২০১৫ সালের জুনে সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে শুরু হয় বিচার। এক দশকেরও বেশি সময় পার হলেও নিষ্পত্তি হয়নি বিচার কাজ।
এবার সুন্দরগঞ্জের নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন গাইবান্ধা-১ আসনের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ হত্যাকাণ্ডে তে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনে তার দল আওয়ামী লীগ।
এছাড়া গত দু-বছরে নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, অধ্যাপক জাফর ইকবাল, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামসহ বেশ কয়েকজনকে প্রাণ-নাশের হুমকি দেয় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিম।