সাজা শেষ হওয়ার পাশাপাশি কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত অন্তত দেড়শ জঙ্গি সদস্য পুনরায় জেএমবিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে। যারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় পুরনো জেএমবি হিসাবেই চিহ্নিত হচ্ছে। এর মধ্যে নব্য জেএমবি ঢাকা কেন্দ্রিক বড় ধরণের হামলা চালালেও পুরাতন জেএমবি মূলত টার্গেট কিলিংকেই পরিকল্পনা হিসেবে বেছে নিচ্ছে। চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়ার পর যেসব জেএমবি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছে তাদের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংগ্রহ করতে নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ হেড কোয়ার্টার।
২০0৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালিয়ে অবস্থান জানান দেয়া নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবির কয়েকজন শীর্ষ নেতার ফাঁসি হয়। পাশাপাশি সক্রিয় সদস্যদের অপরাধ অনুযায়ী তিন থেকে ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়। এতে কোণঠাসা হয়ে পড়ে তারা। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সাজার মেয়াদ শেষে শতাধিক এবং জামিনে মুক্তি পেয়ে আরো অন্তত ৫০ জন জেএমবি সদস্য লাপাত্তা হয়ে গেছে। আর তারাই নতুন করে পুরাতন জেএমবিকে সংগঠিত করার চেষ্টা করছে।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডি আই জি শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘যেসব জেএমবি সদস্য সাজা খাটার পর তারা পুনরায় কোনো কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছে কিনা বা কোনো পরিকল্পনা করছে কিনা এই বিষয়গুলো দেখার জন্য একটি তালিকা করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইএস মতাদর্শের নব্য জেএমবি অনেকটা রাজধানী ঢাকা কেন্দ্রিক। কিন্তু কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়া পুরাতন জেএমবি সদস্যদের পরিকল্পনা কিছুটা ভিন্ন।
গত দেড় দশক ধরে জঙ্গিরা প্রশাসনকে তটস্থ করে রাখলেও পুলিশের মাঠ পর্যায়ের ইউনিটগুলোতে তেমন কোনো তথ্য যেমন নেই, তেমনি নেই কার্যকর মনিটরিংও। তাই পুলিশের জঙ্গি সংক্রান্ত একটি স্বতন্ত্র সেল রাখার প্রতি গুরুত্ব দিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন আহমেদ।
পুলিশের দেয়া তথ্য মতে, গত ডিসেম্বরে ৬৮ জন জঙ্গি চট্টগ্রাম কারাগারে ছিল। এর মধ্যে ২০ জন জেএমবি সদস্য।