রাজপাড়া থানার ওসি আমান উল্লাহ জানান, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবদুল শেখ (৬৫) রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অবসরপ্রাপ্ত অফিস সহকারী ছিলেন।
এ ঘটনায় তার ছোট ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩৫) ও তার স্ত্রী হাবিবা আক্তার লাইজুকে (৩০) আটক করা হয়েছে বলে ওসি জানান।
ওসি আমান বলেন, আবদুল শেখের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর আবার বিয়ে করেন। প্রথম পক্ষে তার তিন ছেলে ও দ্বিতীয় পক্ষে এক মেয়ে রয়েছে।
“বেশ কিছুদিন ধরে ব্যাংকের সঞ্চিত টাকা ও সম্পত্তি নিয়ে বড় ছেলে আবু তাহের সুজন ও মেজ ছেলে আবু বকর সিদ্দিক সুরুজের সঙ্গে আবদুল শেখের বিরোধ চলছিল।”
তিনি বলেন, তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে শরিফ ও তার স্ত্রী আবদুল শেখের সঙ্গে থাকেন। বড় দুই ছেলে বাইরে ভাড়া বাসায় থাকে।
“সকালে বাড়ির গেইটের তালা ভেঙ্গে ঢুকে ছোট ভাই শরিফের সহায়তায় আবদুল শেখকে মারধরের মেঝেতে ফেলে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন সুজন।”
ওসি জানান, এ সময় স্বামীকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে আব্দুল শেখের দ্বিতীয় স্ত্রী আছিয়া বেগমও তাদের মারধরের শিকার হন; পরে পালিয়ে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেন তিনি।
“খবর পেয়ে পুলিশ অবদুল শেখকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
এ ঘটনায় শরিফ ও তার স্ত্রীকে আটক করা হলেও সুজন পালিয়ে গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
আছিয়া বেগম জানান, তার স্বামীর নামে দুইটি ব্যাংকে ৪০ লাখ টাকা রয়েছে। সেই টাকা ও সম্পত্তি লিখে নেওয়ার জন্য বেশ কিছুদিন থেকে শরিফ ও সুজন চাপ দিয়ে আসছিল।