কার্যকারিতা হারাচ্ছে খুলনার অধিকাংশ স্লুইস গেট। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, খননের অভাবে পলি জমা পড়ে নদী ও খাল ভরাট, করাতে ও নাব্য কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। যেগুলো সচল রয়েছে সেগুলো কোনটা অকেজো আবার কোনটা সঠিক সময়ে দেখভাল না করায় গ্রামীণ কৃষি ব্যবস্থাপনায় দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, খুলনার বিভিন্ন পোল্ডার ও প্রকল্পে অন্তত সাড়ে ৩শ’ স্লুইস গেট রয়েছে। এর মধ্যে দুই শতাধিকেরও বেশি স্লুইচ গেট বন্ধ হয়ে গেছে অব্যবস্থাপনা ও পলি মাটির কারণে। বাকিগুলো সচল থাকলেও সেগুলো কার্যকারিতা হারাচ্ছে কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায়। ফলে খুলনার ডুমুরিয়া, বটিয়াঘাটা, পাইকগাছা, দিঘলিয়া ও দাকোপ উপজেলায় কৃষি কাজে দেখা দিয়েছে নানা সমস্যা। অধিক বৃষ্টিতে স্লুইস গেট দিয়ে পানি সরানোর ব্যবস্থা না থাকায় কৃষি জমিতে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। ব্যাহত হচ্ছে কৃষি কার্যক্রম।
স্লুইস গেটের দায়িত্বপ্রাপ্তরা জানায়, স্লুইস গেটগুলো নষ্ট ও ব্যবহারিক প্রযুক্তি পুরাতন হওয়ায় সঠিক সময়ে গেটগুলো ওঠাতে ও নামাতে সমস্যা হয়।
অজুহাত হিসাবে জনবল সংকট ও অর্থের অপ্রতুলতার কথা জানান খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী পীযুষ কৃষ্ণ কুন্ডু।
স্লুইস গেটের খনন ও অব্যবস্থাপনার অভাবে চলতি বছর ৫টি উপজেলার প্রায় ২০ শতাংশ আবাদি জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।