প্রথমবারের মত আগারগাঁওয়ে নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। গত ৪৩ বছর পরিকল্পনা কমিশনের পাশের ভবনে ছিলো ইসির কার্যালয়।
কর্মকর্তা কর্মচারীরা বলছেন, স্মৃতিবিজড়িত প্রাকৃতিক পরিবেশের পুরনো কার্যালয় ছাড়তে কষ্ট হলেও নিজস্ব ভবনের কথা ভেবে আনন্দও লাগছে। আর নির্বাচন কমিশন বলছে, এর ফলে কাজের গুণগত মান বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়িয়ে জনগণকে আরো সহজে সেবা দেয়া যাবে।
৪৩ বছরের জমানো স্মৃতি সবটুকু সঙ্গে করে নিয়ে যেতেই এ প্রচেষ্টা। চেয়ার টেবিল থেকে শুরু করে অফিসের সব কাগজপত্র, কোনো কিছুই যাতে রয়ে না যায় সেদিকেই সবার সজাগ দৃষ্টি।
শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে থাকা নির্বাচন কমিশন কার্যালয় স্থানান্তরে চলছে এ কর্মযজ্ঞ। ১৯৭৩ সাল থেকে পরিকল্পনা কমিশনের ৫ ও ৬ নম্বর ব্লকের এ ভবনে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলো নির্বাচন কমিশন। অবশেষে ৪৩ বছর পর নিজস্ব ভবনে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের নতুন ঠিকানা পশ্চিম আগারগাঁওয়ের ১১তলা সুউচ্চ এ নির্বাচন ভবন। ২ একর ৩৬ শতাংশ জমির ওপর প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত নির্বাচন ভবনে থাকছে আধুনিক ও প্রযুক্তিগত সব সুযোগ সুবিধা। নিজস্ব ভবন পেয়ে খুশি ইসি’র কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
রোববার থেকে নতুন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম শুরু হলেও সব গোছাতে আরো কিছুদিন লাগবে বলে জানিয়েছেন ইসি’র উপ সচিব।
২০১৭ সালের জুনে ভবনটি উদ্বোধনের কথা থাকলেও বর্তমান কমিশন ছয় মাস আগেই নির্বাচন ভবন চালু করতে যাচ্ছে।