আরিফ উদ্দিন, গাইবান্ধা থেকেঃ গাইবান্ধার সদর উপজেলার কামারজানি ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্র নদী চরাঞ্চলের কুন্দেরপাড়ায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গণউন্নয়ন একাডেমী হাইস্কুল দৃবৃর্ত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে অফিস সহস্কুলের ৭ টি রুম। স্থানীয় লোকজন আগুন নেভানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। আগুনে স্কুলের ৭টি ভবন, আসবাবপত্র, শিক্ষা সরঞ্জাম, শিক্ষার্থীদের ১২ বছরের অন্তত ২০ হাজার স্কুল সার্টিফিকেট ও একটি এনজিও’র অফিস ভস্মিভুত হয়। এতে প্রায় কোটি টাকার মালামাল ও শিক্ষার্থীদের সাটিফিকেটসহ মুল্যবান কাগজ ভস্মিভুত হয়।
২০০৩ সালে স্থাপিত কুন্দারপাড়া গণউন্নয় একাডেমীর পরিচালনা পরিষদ ১১ জন সদস্যে সভাপতি ছিলেন গণউন্নয়ন কেন্দ্রে নির্বাহী প্রধান আব্দুস সালাম। একাডেমি শিক্ষক ১০ জন কর্মচারী ১ জন।
শিক্ষার পাশাপাশি একাডেমি শিক্ষা প্রদান করায় বিদ্যালয়টি স্থানীয়দের কাছে জনপ্রিয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান জানান, বিদ্যালয়ের ২০০৩ সাল থেকে ভূস্মিভূত হওয়া পর্যন্ত সকল ধরণের কাগজপত্র, শিক্ষার্থীদের মার্কশীট, রেজিস্ট্রেশন কার্ড, সনদপত্র, রেজিষ্টার খাতা সব পুড়ে ছাই হয়েছে। কোন শিক্ষার্থীর কোন কাগজ ছিলো তা এখন কিভাবে দিবো। আমাদের সব পুড়ে ছাই হয়েছে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কান্নায় আকাশ বাতাস ভারী হয়ে আসে। এমন নেক্কার জনক ঘটনা আবারো ঘটলো গাইবান্ধা জেলায়।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যালয়ের ১০গজের ভিতরে নেই কোন আবাসিক বাসস্থান। নেই কোন বিদ্যুতের সংযোগ বা খুঁটি আগুন লাগার মতো কোন সূত্র নেই বলে জানান। অত্র ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছ্লাামকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন এটা দূর্বূতদের কাজ এখানে পরিকল্পিত আগুনের সূত্রপাত। সাধারণ আগুণ লাগার কোন কারণ নেই। আর সাধারণ আগুণে একবারে সব পুড়ে যায় না। এখানে সব পুড়ে ছাই। দূর্বৃতদের সনাক্তের চেষ্ঠা চলছে। দূর্বৃতদের ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন চেয়েছেন এলাকার স্থানীয় জনসাধারন। গাইবান্ধা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামছুল আজম ও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।