(বাসস) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পাওয়া গেলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না’।
তিনি মঙ্গলবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো আয়োজিত ‘জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন ও দুর্নীতি প্রতিরোধে এনজিওদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ ও ঘুষ গ্রহণকারীকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে তার সামাজিক বা পেশাগত বা অন্য কোনো পরিচয় কমিশনের কাছে ন্যূনতম গুরুত্ব পাবে না’।
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি দমন অসম্ভব নয় কিন্তু কঠিন কাজ’।
দুর্নীতির কাছে আত্মসমর্পণ না করে সম্মিলিতভাবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দুদক চেয়ারম্যান সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘সম্মিলিত প্রয়াস ছাড়া দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরা সত্যিই কঠিন কাজ’।
তিনি বলেন, ‘বিগত বছরে প্রায় ৪ শতাধিক ব্যক্তিকে দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। এই গ্রেফতারের পরিপ্রেক্ষিতে ঘুষ চাওয়ার প্রবণতা অনেকটা কমে গেছে।’
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি সব সেক্টরেই দুর্নীতি কম-বেশি বিদ্যমান রয়েছে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন। আমাদের উচিৎ, আমরা যেটা বিশ্বাস করি সেটা বলা। আমাদের দেশে এমন অনেকে আছেন, যারা যা বিশ্বাস করেন, তা বলেন না, বরং যা বলেন, তা বিশ্বাস করেন না।’
ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কমিশন ক্ষুদ্র সামর্থ্য নিয়ে আগামী প্রজন্মের মধ্যে সততা ও নিষ্ঠাবোধ সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন প্রেষণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে’।
এনজিও প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনাদের অ্যাডভোকেসি কর্মসূচি বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত’। তাই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির ক্ষেত্রে এ সকল কর্মসূচিতে দুর্নীতির ধারণা, কুফল ইত্যাদি তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।
এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. আসাদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে তত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান, এনজিও ব্যক্তিত্ব খুশি কবীর, ফারাহ্ কবীর, আরোমা দত্ত, রহিমা সুলতানা কাজল,ফিলিপ বিশ্বাস ও সিরাজুল ইসলাম সজীব বিশ্বাস বক্তব্য রাখেন।