বরিশালে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় যুক্ত হতে জমা পড়েছে ভাতাপ্রাপ্তদের দ্বিগুণ আবেদন। শেষ দিনগুলো নিশ্চিন্তে কাটাতে ভুয়া কাগজ আর গল্প বানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা হতে চাইছেন অনেক বৃদ্ধ। ভুয়া প্রমাণে শাস্তির বিধান থাকলে এমনটা হতো না বলে মনে করছে বাছাই কমিটি।
মৃত স্বামীর মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি আদায়ে বাবুগঞ্জের মহিষদি গ্রাম থেকে সাক্ষাত দিতে এসেছেন নয় সন্তানের জননী আলেয়া বেগম। সম্বল স্বামী মোসলেম আলীর মুক্তিযোদ্ধার সনদ। তিনি ভাতা চান। চান স্বীকৃতি।
এদিকে নিজেকে যুদ্ধাহত প্রমাণ করতে চান মাধবপাশা গ্রামের কাঞ্চন মৃধা। সনদ পেতে বাছাই কমিটিকে জানিয়েছেন চ্যালেঞ্জ। বরিশালে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার। অথচ নতুন করে তালিকাভুক্ত হতে জমা পড়েছে ছয় হাজারের বেশি আবেদন। বাদ পড়ায় কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন অনেকে। আর আবেদনের চাপে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা যাচাইয়ে হিমশিম খাচ্ছে বাছাই কমিটি।
বাবুগঞ্জে ১২শ আবেদন থেকে এ পর্যন্ত বাছাই হয়েছে ৮২ জন। এর মধ্যে স্বীকৃতি পেয়েছেন মাত্র দু’জন। বরিশালের মতো, শরীয়তপুর, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালীসহ গোটা দক্ষিণাঞ্চলেই মুক্তিযোদ্ধার তালিকা যাচাই বাছাই নিয়ে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।