কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনসহ আগামী মাসে যেসব উপজেলা পরিষদ ও সংসদীয় আসনের উপ-নির্বাচন রয়েছে, সেগুলোতে নিরপেক্ষ রেফারির ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়াটাই নতুন নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রধান চ্যালেঞ্জ। এমন মন্তব্য করে বিশ্লেষকরা বলছেন, এগুলোতে ব্যর্থ হলে তৈরি হবে জাতীয় সংকট। আর নির্বাচন কমিশন পাবে চির আস্থাহীন সংস্থার খেতাব।
সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে নতুন কমিশনাররা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করবেন, এমন প্রত্যাশার কথাও জানিয়েছেন তারা। বিকেলেই তাদের শপথ নেয়ার কথা রয়েছে।
আচরণ-বিধি ভঙ্গের হিড়িক, প্রতিপক্ষের ওপর হামলা, ব্যালট পেপার ছিনতাইসহ নানা অনিয়ম যেনো রীতি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের নির্বাচনী ব্যবস্থার। এক্ষেত্রে বরাবরই কমিশনের নির্বিকার ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা হয়েছে সব মহলে। এমন বাস্তবতায় আগামী পাঁচ বছরের জন্য যাত্রা শুরু হচ্ছে কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বে নতুন নির্বাচন কমিশনের।
বিশ্লেষকরা বলছেন, তাই নতুন ইসিকে প্রথমেই দিতে হবে নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্যতার প্রমাণ। পাশাপাশি টপকাতে হবে নানা বাধা।
সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক বলেন, ‘আগামী মার্চ মাসে বেশ কয়েকটা উপজেলা নির্বাচন আছে। এই নির্বাচনগুলো যদি তারা সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারে তাদের আস্থাটা বেড়ে যাবে।’
ইতিপূর্বের কয়েকটি নির্বাচনের মত প্রানহানী এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের রেকর্ড অব্যাহত থাকলে জনগণের আস্থা হারাবে নতুন কমিশন। ভেস্তে যাবে নির্বাচন কমিশনের ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভাবনা।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুনসেফ আলী বলেন, ‘বাধা প্রত্যেক পদে পদেই আসবে। সেই বাধাকে প্রশ্রয় দিতে গেলে বাধা বাড়বেই, কমবে না। সব বাধা অতিক্রম করে দায়িত্ব-কর্তব্য নিজে ঠিক করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে।’
তবে প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকারের সহযোগিতা ছাড়া কমিশনের একার পক্ষে কোনো কিছুই সম্ভব নয় বলে মত সাবেক এই নির্বাচন কমিশনারের। পাশাপাশি দায়িত্বশীল আচরণ দেখাতে হবে অন্য রাজনৈতিক দলগুলোকেও।