লাগেজ দুর্ভোগে নাকাল বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীরা। বিমানবন্দরে নামার পর অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। এরপরও মালামাল বুঝে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ অনেকের। এ অবস্থার জন্য বিমানের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন পর্যবেক্ষকরা। যাত্রীদের হাতে যৌক্তিক সময়ের মধ্যে লাগেজ পৌঁছে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিমানের চেয়ারম্যান।
প্রায় ৩ বছরের স্বজনহীন প্রবাস জীবন শেষে মধ্যপ্রাচ্য থেকে দেশে ফিরেছেন সুমন মিয়া। বিমানে ওঠার পর চেনা মুখের পরিচিত বুলিতে যে ভালো লাগা তৈরি হয়েছিলো, নামার পর তার অনেকটাই ম্লান হয়েছে বিমানবন্দরের লাগেজ দুর্ভোগে।
তিনি বলেন, ‘এতদিন পর দেশে ফিরলাম। এসেই ভোগান্তি, লাগেজ পাইনি এখনো। আমার আত্মীয় স্বজনরা অপেক্ষা করছে। কি হয়েছে সঠিক বলতে পারিনা।’
কেবল সুমন মিয়া-ই নন, এই বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ায় যেন এখন নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ বিমানে চড়া অন্যসব যাত্রীর।
দুর্ভোগে পড়া এক যাত্রী বলেন, ‘দিন দিন অব্যবস্থাপনা বাড়ছে, ভিতরে ট্রলি নেই। ট্রলির জন্যে দুই ঘণ্টা অপেক্ষায় থেকেও ট্রলি পায়নি। অনেক যাত্রী বলেন, মালামাল বুঝে পেতে ৪ ঘণ্টা লেগে যায়।’
বিমানের হিসাব মতে, গত ৩ বছরে তাদের যাত্রীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৮ লাখ। এরমধ্যে কেবল গত বছরই যাত্রী বেড়েছে প্রায় ৩ লাখ। কিন্তু খুব একটা বাড়েনি যাত্রী সেবার মান।
ইমিগ্রেশন শেষে বেসরকারি ও বিদেশি বিমানের যাত্রীরা যেখানে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে সব মালামাল বুঝে পাচ্ছেন, সেখানে বাংলাদেশ বিমানের যাত্রীদেরকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে ৪ থেকে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। অথচ বিমানকে লাভজনক করার জন্য গত কয়েক বছরে বিনিয়োগ করা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি।
বিমান বিশেষজ্ঞ কাজী ওয়াহিদুল আলম বলেন, ‘বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বাণিজ্যিক সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্যে যা কিছু করার দরকার তাই করতে হবে।’