সম্পাদনায় -আরজে সাইমুর, স্বদেশ নিউজ২৪.কম: বাংলা ভাষার প্রতিটি অক্ষরের মাঝে ভাষা শহীদেরা মিশে আছে। ভাষা শহীদদের মতো দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে হবে। আজ বিকেলে বাংলাদেশ শিশু একাডেমিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের ‘আলোচনা সভা ও ভাষা আন্দোলনের স্মৃতিচারণ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহের আফরোজ চুমকি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এখনো বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করার জন্যে একটি মহল তৎপর রয়েছে। যারা বায়ান্ন দেখেনি, একাত্তর দেখেনি, তাদেরকে ‘৫২, ‘৭১ এর ইতিহাস জানানো আমাদের কর্তব্য।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য কবি কাজী রোজী বলেন, প্রাণের বিনিময়ে বাংলা ভাষা এখন প্রাণ পেয়েছে। ভাষাসৈনিক ড. শরিফা খাতুন বলেন, আজকে শিশুরা যে ভাষায় কথা বলে, তা অর্জন করতে আমাদের অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। ভাষা আন্দোলনের অংশগ্রহণ করতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। বায়ান্ন সালের একুশে ফেব্রুয়ারি প্রথম আমি গুলির আওয়াজ শুনতে পাই। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস শিশুদের মাঝে বলতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।
একুশে পদকপ্রাপ্ত আরেক ভাষাসৈনিক রওশন আরা বাচ্চু বলেন, একুশ ছিল বাঙালী জাতির বেঁচে থাকার লড়াই। আমরা এমন এক সময় ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি, যে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন ছেলের সঙ্গে একজন মেয়ে কথা বললে দশ টাকা জরিমানা হতো, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিস্কার করা হতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোন ছেলে-মেয়ে মেলামেশা করতে পারতো না। ওই পরিস্থিতিতে আমরা ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছি।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক আনজীর লিটন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০১৭ উপলক্ষে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ‘বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও রাঙামাটি জেলা শাখার প্রশিক্ষণার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, পুরস্কার বিতরণ, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও আমন্ত্রিত ছড়াকারদের ছড়াপাঠ অনুর্ষ্ঠিত হয়।
এসময় শিশুদের ছড়া পাঠ করে শোনান, কবি আসলাম সানি, রফিকুল হক দাদুভাই, একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার সুকুমার বড়ূয়াসহ আরো অনেকে।