আজ শুক্রবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলন থেকে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই দাবি জানান।
“আমি বিএনপির পক্ষ থেকে পিলখানায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে ঘোষণার জোর দাবি জানাচ্ছি।”
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষা বাহিনী বাংলাদেশ রাইফেলস (বিডিআর) সদরদপ্তরে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হয়। রক্তাক্ত ওই ঘটনার পর সীমান্তরক্ষা বাহিনীর নাম বদলে রাখা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
ওই ঘটনার মামলায় বিডিআরের নিজস্ব আইন ও ফোজদারি আইনে ৬ হাজারের বেশি আসামির মধ্যে ৫৯২৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের মামলায় ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় বিশেষ জজ আদালত। বর্তমানে মামলার রায় উচ্চ আদালতের শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
তবে পিলখানার ওই ঘটনার কারণ উৎঘাটিত হয়নি দাবি করে তাতে ক্ষমতাসীনদের অনেকেই জড়িত ‘শোনা যায়’ বলে সংবাদ সম্মেলনে মন্তব্য করেন বিএনপি নেতা রিজভী।
তিনি বলেন, “পূর্ব পরিকল্পিত পিলখানার ঘটনায় হত্যাকাণ্ডে অনেকের সাজা হয়েছে, আবার অনেকেই অধরায় থেকে গেছেন। এই ঘটনার সাথে ক্ষমতাসীনদের অনেকের জড়িত থাকার কথা শোনা গেলেও সেগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পুরো বিষয়টা এখন রহস্যের কুয়াশায় ঢাকা।
“একটি জাতির স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সুরক্ষার প্রতীক সেনাবাহিনীকে এভাবে দুর্বল করায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত থাকতে পারে। পিলখানা ট্র্যাজেডির উচ্চ পর্যায়ের একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠন করে এর রহস্য উদঘাটন করা উচিৎ বলে আমরা মনে করি। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত তদন্ত হয়েছে বলে আমরা মনে করি না।”
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, কেন্দ্রীয় নেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব, আজিজুল বারী হেলাল, মনির হোসেন, শাহিন শওকত উপস্থিত ছিলেন।