একজনের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে কারো ফাঁসি কারো যাবজ্জীবন আবার কেউবা পেয়েছেন খালাস। পিলখানার বিডিআর হত্যা মামলার আপিল শুনানির শেষ পর্যায়ে এসে রায় নিয়ে দেখা দিয়েছে এমন আইনি বিতর্ক। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, এসব প্রশ্নের আইনি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত শেষ হচ্ছে না দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এ মামলার আপিল শুনানি। তবে চলতি বছরই শুনানি শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি। ৮ বছর আগের এই দিনে তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের নামে হত্যা করা হয় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে।
বর্বরোচিত এ হত্যাকাণ্ডের দায়ে ২০১৩ সালে ১৫২ জনকে মৃত্যুদণ্ড, ১৬১ জনকে যাবজ্জীবন এবং ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেন আদালত। খালাস পান ২৭৭ জন। নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডের বিচার কাজ ৪ বছরে শেষ হলেও উচ্চ আদালতে আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের আপিল শুনানি আটকে আছে আইনি বিতর্কে। যদিও এরই মধ্যে আসামিদের আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল বলছেন, আইনি বিতর্ক যাই থাক, আপিল নিষ্পত্তি হবে এ বছরের মধ্যে।
এদিকে হত্যা মামলার বিচার শেষ হলেও ৮ বছরেও শেষ হয়নি বিষ্ফোরক আইনে দায়ের করা মামলার বিচারকাজ। ফলে হত্যা মামলায় খালাস পাওয়া অনেক আসামি বিস্ফোরক মামলার আসামি হওয়ায় মুক্তি পাননি ৪ বছরেও। আগামী দোসরা এপ্রিল বিডিআর হত্যা মামলার আপিল শুনানি এবং ৫ই মার্চ বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য রয়েছে।