পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএল) গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুণ নৈপুণ্য দেখালেন শহিদ আফ্রিদি। ৩ ছক্কা ও ৩ চারে ২৩ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে পেশোয়ার জালমিকে জেতালেন তিনি। মাহমুদুল্লাহ’র কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্সকে ২ উইকেটে হারালো সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের পেশোয়ার জালমি। এতে গ্রুপপর্ব শেষে পেশোয়ার ও কোয়েটার পয়েন্ট সমান- ৯। তবে রান ব্যবধানে এগিয়ে শীর্ষে ড্যারেন স্যামির পেশোয়ার। এই দুই দলই প্লে-অফ নিশ্চিত করেছে। গ্রুপর্বের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইসলামাবাদ ইউনাইটেড ও করাচি কিংস। তাদের পয়েন্ট যথাক্রমে ৮ ও ৬। তারাও ইতিমধ্যে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে। আর পাঁচ দলের টুর্নামেন্টের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে লাহোর কালান্দার্স।
শনিবার বাংলাদেশের তিন খেলোয়াড় নিজেদের তেমন মেলে ধরতে পারেননি। কোয়েটার মাহমুদুল্লাহ ব্যাট হাতে ফেরেন শূন্য রানে। তবে বল হাতে ৩.২ ওভারে ৩১ রানে নেন ৩ উইকেট। অন্যদিকে পেশোয়ারে হয়ে তামিম ইকবাল ১৩ বলে ৭ রানে ফেরেন। একই দলের সাকিব আল হাসান বল হাতে ৪ ওভারে ২৪ রানে ১ উইকেট নেয়ার পর ব্যাট হাতে এক বলে এক রান করে রানআউটের খাঁড়ায় পড়ে ফেরেন।
দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাটে গিয়ে কোয়েটা গ্লাডিয়েটর্স ইনিংসের শেষ বলে অলআউট হয়ে করে ১২৮ রান। কেভিন পিটারসেন সর্বোচ্চ ৪১ ও রাইলি রুসো করেন ৩৮ রান। এছাড়া আর কারো ব্যাট এদিন কথা বলেনি। মামুলি এ টার্গেট সামনে নিয়ে বিপদে পড়ে পেশোয়ার জালমি। কিন্তু শেষের দিকে ত্রাতা হয়ে হাজির হন শহিদ আফ্রিদি। তারা এক উইকেটে ৫০ রান তুলে ফেলে। কিন্তু এরপর ২ রান যোগ করতে গিয়ে আরো ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে। ৫০ থেকে ৫২- এই দুই রানের মধ্যে ফেরেন মারলন স্যামুয়েলস (৭) কামরান আকমল (২৬), সাকিব আল হাসান (১) শোয়েব মাকসুদ (০) ও ড্যারেন স্যামি (০)। দলীয় দশম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে মাকসুদ ও স্যামিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়ে তোলের কোয়েটার বাংলাদেশি অলরাউন্ডার মাহমুদুল্লাহ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা সম্ভব হয়নি। ৫২ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে হার দেখছিল পেশোয়ার। কিন্তু আট নম্বরে নেমে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন শহিদ আফ্রিদি। লেজের দুই ব্যাটসম্যান নিয়ে তিনি দারুণ লড়াই করেন। সপ্তম উইকেটে মোহাম্মদ হাফিজের সঙ্গে ৩৭ রানের জুটি গড়েন তিনি। হাফিজ ফেরেন ২২ রানে। এরপর ওয়াহাব রিয়াজ ও হাসান আলীক সঙ্গে নিয়ে একাই লড়াই করেন আফ্রিদি। হাসান আলী ৩ বলে ২ চারে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। আর আফ্রিদি অপরাজিত থাকেন ৪৫ রানে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৭ রান। মাহদুল্লাহর করা শেষ ওভারের প্রথম দুই বলেই চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন আফ্রিদি। পাকিস্তানের জাতীয় দলের সাবেক এ অলরাউন্ডার এর আগে করাচি কিংসের বিপক্ষে ২৮ বল করেন ৫৪ রান।