জয় পেতে হলে ব্যাট হাতে রেকর্ড গড়তে হতো ভারতের। পুনে টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে ভারতের টার্গেট ছিল ৪৪১ রানের। টেস্ট ইতিহাসে এত রান তাড়া করে জয়ের নজির নেই। আর ব্যাট হাতে ছিটেফোঁটা নৈপুণ্যও দেখাতে পারলো না ভারতীয়রা । এতে নিজ মাঠে ম্যাচের মাত্র আড়াই দিনে হারের লজ্জায় ডুবলো ভারত। চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে ভারতের বিপক্ষে বিশাল ৩৩৩ রানে জয় কুড়ালো অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের ১০ উইকেট ভাগাভাগি করেন অজি স্পিনার যুগল স্টিফেন ও’কিফ ও নাথান লায়ন। প্রথম ইনিংসের মতোই ৩৫ রানে ছয় উইকেট নেন বাঁ-হাতি স্পিনার ও’কিফ। লায়ন নেন চার উইকেট। ম্যাচে অজি স্পিনারদের শিকার ১৭ উইকেট। ভারতের মাটিতে ১৪ বছর পর টেস্ট ম্যাচ জয়ের স্বাদ পেলো অজিরা। এখানে  টেস্টে অস্ট্রেলিয়া সর্বশেষ জয় দেখে ২০০৪ সালে।
ভারতের মাটিতে টানা ৭ টেস্টে হারের স্মৃতি নিয়ে পুনেতে খেলতে নামে অস্ট্রেলিয়া। আর আইসিসি টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল ভারত দুই ইনিংস মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়ার এক ইনিংসের সমান রান করতে পারলো না।
ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ১০৭ রানে। সফরকারী অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ২৬০ রান করে। জবাবে ভারত অলআউট হয় মাত্র ১০৫ রানে। ১৫৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ২৮৫ রানে অলআউট হয়। এতে চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য ভারতের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ৪৪১ রানের। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৪১৮ রান তাড়া করে জয়ের  রেকর্ড ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ২০০৩ সালে অ্যান্টিগায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তারা এই রেকর্ড গড়ে। আগের দিনের ১৪৩/৪ সংগ্রহ নিয়ে গতকাল অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস থামে ২৮৫ রানে। স্টিভেন স্মিথ ১০৯ ও  আট নম্বরে ব্যাট হাতে ৩০ রান করেন মিচেল স্টার্ক । প্রথম ইনিংসে স্টার্ক করেন ৬১ রান। বিশাল টার্গেটে ব্যাট হাতে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। স্কোর বোর্ডে ১৬ রান জমা পড়তেই সাজঘরে ফেরেন দুই ওপেনার মুরলি বিজয় ও কেএল রাহুল। পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট খুইয়ে রণেভঙ্গ দেন ভারতের বাকি ব্যাটসম্যানরাও।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ভারত অস্ট্রেলিয়া প্রথম টেস্ট
মহারাষ্ট্র স্টেডিয়াম, পুনে ২৩-২৫ ফেব্রুয়ারি
টস: অস্ট্রেলিয়া, ব্যাটিং
অস্ট্রেলিয়া: ২৬০ ও ২৮৫ (স্মিথ ১০৯, রেনশ’ ৩১, মার্শ ৩১, অশ্বিন ৪/১১৯, জাদেজা ৩/৬৫, উমেশ ২/৩৯)।
ভারত: ১০৫ ও ১০৭ (পূজারা ৩১, রাহানে ১৮, কোহলি ১৩, ও’কিফ ৬/৩৫, নাথান লায়ন ৪/৫৩)
ফল: অস্ট্রেলিয়া ৩৩৩ রানে জয়ী
ম্যাচ সেরা: স্টিফেন ও’কিফ (অস্ট্রেলিয়া)
চার ম্যাচ সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ১-০তে এগিয়ে