লাগামহীন দখলে ঢাকার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে আদি বুড়িগঙ্গা নদী। ভূমিগ্রাসীদের কড়াল থাবায় মাত্র দুই যুগের ব্যবধানে বুড়িগঙ্গার এ শাখা নদীর অস্তিত্বই আজ বিলীন হতে বসেছে। যে সামান্য এলাকা টিকে আছে, সেখানেও চলছে দখলদারদের রাজত্ব। এসব প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
তবে এই নদী উদ্ধারে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি কমিটি গঠন হলেও এখনো মূল কাজে নামতে পারেনি সংশ্লিষ্ট টাস্কফোর্স।
এ যেন মগের মুল্লুক, যে যেভাবে পারছে ভরাট করছে নদী, গড়ে তুলছে স্থাপনা। অসহায় নদী প্রতিদিনই নীরবে বুকে ধারণ করছে দখলদারদের ফেলা ইট-কাঠ-বালু-আবর্জনা।
আদি বুড়িগঙ্গা। বুড়িগঙ্গার মূল স্রোতধারা থেকে বেরিয়ে ইসলামবাগ হয়ে গাবতলী পর্যন্ত বয়ে যাওয়া একটি শাখা নদী।
এভাবে প্রায় দুই যুগের ব্যবধানে সাড়ে ১৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ নৌ-রুটের ১১ কিলোমিটার এলাকায় নেই নদীর অস্তিত্ব। অবশিষ্ট সাড়ে ৩ কিলোমিটারেও যেন চলছে দখলেরই মহোৎসব।
সঙ্গত কারণে শুষ্ক খালে পরিণত হয়েছে অবশিষ্ট নদীর সিংহভাগ, সৃষ্টি হয়েছে ঝাউ জঙ্গলের।
মাঝ নদীতে সাইনবোর্ড টানিয়ে মালিকানা জাহির করছেন কেউ কেউ। কোথাও আবার অনুমোদনহীন সেতুর ছড়াছড়ি। এ অবস্থায় দখলদার লাগাম টেনে ধরতে এখনই সরকারকে তৎপর হওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন পরিবেশবিদরা।
এই নদী উদ্ধারে মাঠে নামতে চায় সংশ্লিষ্ট টাস্কফোর্স। এ লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠনের কথাও জানালেন বিআইডাব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক।
বুড়িগঙ্গার এই আদি চ্যানেলটি দখলমুক্ত করে রাজধানী ঘিরে চক্রাকার পানিপথের আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনাও রয়েছে টাস্কফোর্সের।