পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) এবারের আসরের পর্দা নামতে যাচ্ছে আগামী পাঁচ মার্চ। নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল ম্যাচটি। পিএসএলের এই ফাইনাল ম্যাচকে ঘিরে লাহোরে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
নেওয়া হয়েছে পাঁচ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেনাবাহিনী, সেনাবাহিনীর বিশেষ ফোর্স রেঞ্জার্স ও পুলিশি নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হয়েছে স্টেডিয়ামের আশেপাশের এলাকা। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়াম সংলগ্ন জাতীয় হকি স্টেডিয়ামে বানানো হয়েছে ২৫ শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী হাসপাতাল।
ফাইনালে অংশগ্রহণ করা দুই দলের নিরাপদ যাতায়তের জন্য বুলেটপ্রুফ বাসের ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। অনাকাঙ্ক্ষিত যে কোন ঘটনা এড়াতে গত তিন ধরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের আশেপাশের এলাকায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ রয়েছে।
স্টেডিয়ামে ম্যাচ দেখতে আসা সাধারণ দর্শকদের পাড়ি দিতে হবে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মিডিয়াকর্মীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম। এছাড়াও থাকছে প্রশিক্ষিত ডগ স্কোয়াড।
পিসিবির এক মুখপাত্র জানিয়েছেন ফাইনাল পূর্ববর্তী প্রেস কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করবে না কোনো দলই। এছাড়া সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রাদেশিক আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ বলেছেন, ‘সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেবল স্টেডিয়ামকে ঘিরে নয়।পুরো শহর জুড়েই থাকবে নিরাপত্তা বলয়।’
ফাইনাল খেলতে ইতোমধ্যে পাকিস্তান এসে পৌঁছেছে কোয়েট্টা গ্ল্যাডিয়েটরসের ক্রিকেটাররা। তৃতীয় কোয়ালিফাইং ফাইনালে করাচি কিংসকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয়া পেশোয়ার জালমি পাকিস্তানে এসে পৌছাবে রোববার সকালে।
২০০৯ সালে লাহোরে খেলতে এসে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছিল শ্রীলংকা ক্রিকেট দল।এরপর সব ধরণের আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন থেকে নিষিদ্ধ হয় পাকিস্তান।মূলত পাকিস্তানের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতেই পিএসএল এর ফাইনাল ম্যাচটি লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আয়োজন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পিএসএল ব্যবস্থাপনা কমিটি। আগামী পাঁচ মার্চ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায়।