ঝিনাইদহের শৈলকূপায় প্রায় অর্ধশত গ্রামে ছাগল পালন নিষিদ্ধ করেছে গ্রাম প্রধানরা। ক্ষেতের ফসল খাওয়ার জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। এতে স্থানীয় বাজারে দেখা দিয়েছে খাসির মাংসের সংকট। বাধাগ্রস্ত হচ্ছে গ্রামীণ অর্থনীতি। বিষয়টি স্বীকার করে জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, দ্রুত সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গরু-ছাগল ও হাস-মুরগি পালন আবহমান গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য। গ্রাম্য-বধূরা সংসারের কাজকর্ম সেরে গবাদিপশু পালনের মাধ্যমে সুযোগ পান বাড়তি কিছু সঞ্চয়ের। অথচ দীর্ঘদিন ধরে ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে ছাগল পালন নিষিদ্ধ করা হয়। ক্ষেতের ফলস খাওয়ার অভিযোগে কোনো কোনো গ্রামে ১৫ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রেখেছেন গ্রাম-কর্তারা। এতে একদিকে যেমন স্থানীয় বাজারে দেখা দিয়েছে গবাদি পশুর সংকট, তেমনি গ্রামীণ অর্থনীতি হচ্ছে বাধাগ্রস্ত।
গ্রামবাসীরা জানান, লুকিয়ে লুকিয়ে ছাগল পালন করতে হচ্ছে। মাতব্বাররা বুঝতে পারলে এটা বন্ধ করে দেবে। গরু কেনার সামর্থ্য সবার থাকে না তাই ছাগল পালন করেন কেউ কেউ। খামারও সবাই করতে পারে না। তাই প্রতি বাড়ি একটি বা দু’টি পোষার অনুমতি দিলে ভালো হয় বলে জানান তারা।
বিষয়টি স্বীকার করে জেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বলছেন, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা না হলে প্রয়োজনে প্রশাসনের সহায়তা নেয়া হবে।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ছাগল উৎপাদন বন্ধ হওয়ার প্রেক্ষিতে স্থানীয় বাজারে খাসির মাংসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ছাগলের দুষ্প্রাপ্যতা সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে সার্বিকভাবে ব্যবস্থা নেবো যাতে দরিদ্র জনগোষ্ঠী তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি করতে পারে। ’
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নে ২৮৯টি গ্রাম রয়েছে। এর মধ্যে ৪৫টি গ্রামে ছাগল পালন নিষিদ্ধ করে গ্রাম-প্রধানরা।