সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাকেই ব্যবসায়িক প্রচার কাজে ব্যবহার করছে আরব এয়ারলাইনগুলো। সম্প্রতি এ দুই দেশ আরব দেশগুলো হতে আসা বিমানে যাত্রীদের ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এর ফলে ৮টি আরব দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রগামী বিমানে মোবাইল ফোনের চেয়ে বড় কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস যাত্রীরা বহন করতে পারবেন না। যুক্তরাষ্ট্রের অনির্দিষ্টকালের এই ব্যানে ১০টি বিমানবন্দর ও ৯টি এয়ারলাইনকে টার্গেট করা হয়েছে। এয়ারলাইনগুলোর প্রায় সবক’টিই আরব দেশের। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, কয়েকটি এয়ারলাইন কোম্পানি বেশ দ্রুতই প্রতিক্রিয়া জানায়। বিভিন্ন মজার মজার বিদ্রূপাত্মক ভিডিও দিয়ে এই এয়ারলাইনগুলো নিষেধাজ্ঞাকে ব্যবহার করছে নিজেদের মার্কেটিং কৌশল হিসেবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস এয়ারলাইন তাদের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিও পোস্ট করেছে। এতে লেখা, ‘আপনাকে বিনোদিত করার সুযোগ দিন আমাদের।’ ভিডিওতে হলিউড তারকা জেনিফার অ্যানিস্টোনকে দেখা যায়। ভিডিওতে গ্রাহকদের অনেকটা আশ্বস্তের সুরে বলা হয়, ‘আচ্ছা ট্যাবলেট আর ল্যাপটপের দরকারইবা কি?’ রয়্যাল জর্দানিয়ান এয়ারলাইনারের টুইটার অ্যাকাউন্টে ব্যঙ্গাত্মক ছড়া পোস্ট করা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে একটা করে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আসছে। যত তাড়াতাড়ি পারুন যুক্তরাষ্ট্রের দিকে রওনা দিন। এছাড়া ইলেকট্রনিক ডিভাইস বহন করতে না দেয়ায়, বিকল্প হিসেবে কী কী করা যেতে পারে ফ্লাইটে তার একটি তালিকাও আছে সেখানে। আর বলাই বাহুল্য, তালিকাগুলো বেশ মজার। যেমন বলা হয়েছে, ধ্যান করা যেতে পারে, এক ঘণ্টা ধরে চিন্তা করা যেতে পারে কী কী করা যায়, ইন্টারনেট পূর্ব যুগের মতো সহযাত্রীর সঙ্গে আলাপচারিতা করা যেতে পারে, জীবনের মানে খোঁজা যেতে পারে, পাশের যাত্রীকে হ্যালো বলা যেতে পারে, ইত্যাদি ইত্যাদি!
কাতার এয়ারওয়েজ এসেছে পেশাদারি এক টুইট নিয়ে। প্রতিটি সিটের সামনে ৩ হাজারেরও বেশি চ্যানেল সমৃদ্ধ টিভির বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে এতে। রয়্যাল জর্দানিয়ান এয়ারলাইনারের আরেকটি টুইটে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে ডনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতে মামলার দিকেও। মজা করে বলা হয়েছে, যদি তিনি জিতে যান (মামলায়)! তাই সময় থাকতে এখনই ভ্রমণ করুন যুক্তরাষ্ট্রে।