মাদ্রিদ ডার্বিতে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকলো রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচে রিয়ালের হয়ে পেপে ও অ্যাতলেটিকোর হয়ে গোল করেন গ্রিজম্যান।
এই ড্রয়ের ফলে শিরোপার রেসে অ্যাতলেটিকোর খুব বেশি ক্ষতি না হলেও পয়েন্ট খুইয়ে শীর্ষস্থান নড়বড়ে হয়ে গেছে মাদ্রিদিস্তানদের।
শিরোপার আশাতো অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে এখন মরীচিকার মতো। গেল কয়েক মৌসুমে স্প্যানিশ লিগে শিরোপার রেসে তারা বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে চোখে চোখ রেখে কথা বললেও এবার তাদের তৃতীয় স্থান দখলের জন্যই লড়তে হচ্ছে সেভিয়ার সঙ্গে।
পাহাড় সমান চাপ মাথায় নিয়েই যে নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের ঘরের মাঠ স্যান্তিয়াগো বার্নব্যুতে অতিথি রূপে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ।
ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য রোজি ব্ল্যাঙ্কোদের টুটি চেপে ধরতে প্রস্তুত মাদ্রিদিস্তানরা। যেখানে ম্যাচের ৩১ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো প্রতিপক্ষের গোলরক্ষককে পরাস্ত করলেও ডিফেন্ডারকে পারেননি। একেবারে গোল লাইন থেকে হেডের মাধ্যমে বল আটকে দিয়ে দলকে গোল হজমের হাত থেকে বাঁচান অ্যাতলেটিকোর ডিফেন্ডার স্টিফেন সেভিচ। ৩২ মিনিটে স্বাগতিক সমর্থকদের আবারো হতাশায় পোড়ান সিমিওনে বাহিনীর গোলরক্ষক জান ওব্লাক।
সুযোগ পেয়েছিলো অতিথি দলও। ৩৯ মিনিটে গ্রিজম্যানের মাঝ মাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে গিয়ে ওয়ান টু ওয়ান পজিশনে গেলেও নাভাসের দুর্দান্ত সেইভে পাননি গোলের দেখা। ফলে প্রথমার্ধে গোলশূন্য অবস্থারই সাক্ষী হন বার্নাব্যু’র সমর্থকরা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও গোলের ক্ষুধাটা যেন একটু বেশিই সেই মাদ্রিদিস্তানদের। যদিও ৪৭ মিনিটে রোনালদোর হেডে বল পেয়েও জালে জড়াতে ব্যর্থ বেনজামা। এরপরই ম্যাচে পর্তুগীজ তারকা পেপের ঝলক। টনি ক্রুসের অ্যাসিস্ট করা বলকেই জালের ঠিকানায় পাঠিয়ে রিয়ালের ডাগ আউটে স্বস্তি ফেরান পেপে।
ম্যাচে তখন সময় গড়িয়েছে ৫২ মিনিট। এর কিছুক্ষণ পরেই অবশ্য আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। নিজ দলের খেলোয়াড় হলেও ক্রুসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত হয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি।
৬০ মিনিটে অবশ্য রোজি ব্ল্যাঙ্কোদের আবারো হতাশা উপহার দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। সউলের শট প্রতিহত করে অতিথিদের সমতা আনার নিশ্চিত সুযোগকে নষ্ট করে দেন এই কোস্টারিকান। তবে তার বাধার দেয়ার বেশিক্ষণ অটুট থাকেনি।
ম্যাচের ৮৫ মিনিটে অ্যাঙ্গেল করেয়ার অ্যাসিস্ট করা বলকে অফ সাইডের ফাঁদ ভেঙ্গে রিয়ালের জালে পাঠান ফরাসী তারকা আতোঁয়া গ্রিজম্যান। এরপর ম্যাচে আর গোল জোটেনি কারো ভাগ্যে।
আর, সে কারণেই মাদ্রিদ ডার্বিতে ভিসেন্তে ক্যালদেরনে প্রথম লেগে ৩-০ গোলে হারলেও বার্নাব্যুতে রিয়ালের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্রয়ের তুষ্টি নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিমিওনের দল।