ভারত সফরে স্বাক্ষরিত চুক্তি এবং সমঝোতা স্বারক নিয়ে লুকোছাপার কিছু নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার গণভবনে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা জানান। তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে ২৪টি সমঝোতা স্মারক ও ১১ চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। এসব নিয়ে লুকোছাপার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে আমার ব্যক্তিস্বার্থ কিছু নেই। যথাসময়ে সব কিছু জানতে পারবেন’।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারত মিত্রবাহিনী হিসেবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ, সেখানে একটা সমঝোতা স্মারক করতে এসে প্রশ্ন কেন? যারা সহযোগিতা করল তাদের সঙ্গে এমইইউ করতে প্রশ্ন উঠে। বাংলাদেশের সার্বিক স্বার্থ বজায় রেখেই সব করা হবে। কোন দেশ থেকে, কী কিনব, তা নিয়ে কোনো বাইন্ডিংস (ধরাবাধা নিয়ম) নেই। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের স্বাধীনতায় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর অবদান আছে। আমরা স্বাধীন দেশ। আমাদের প্রতিরক্ষাবাহিনী যথেষ্ট শক্তিশালী। জ্ঞানের শেষ নেই। শিক্ষার শেষ নেই, প্রশিক্ষণের শেষ নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ভৌগোলিক সীমারেখায় আমরা ছোট, জনসংখ্যা কম, সার্বভৌমত্বের দিক থেকে সমান সমান। ভারত সেই মর্যাদা দিয়েছে। এখানে হতাশার কিছু নেই। আমি দৃঢ়চেতা হয়েই সিদ্ধান্ত নিই।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর যেখানেই যান বাংলাদেশকে এখন মর্যাদার আসনে দেখতে পান। এটা আমরা করতে পেরেছি।’ বিমানবন্দরে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বাগত জানানোয় বাংলাদেশের জনগণ সম্মানিত হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।