প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর রেপ্লিকা (অবিকল প্রতিরূপ) হস্তান্তর করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। ১৭ এপ্রিল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে রেপ্লিকা তুলে দেওয়া হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে। উৎক্ষেপণের পর ২০১৮ সালের এপ্রিল নাগাদ এ স্যাটেলাইট বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু করতে পারবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ সরকার।
ফ্রান্সের থালিস এলিনিয়া স্পেস ফ্যাসিলিটিতে এ স্যাটেলাইট নির্মাণের অধিকাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। দেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে রাশিয়ার উপগ্রহ কোম্পানি ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে কক্ষপথ (অরবিটাল স্লট) কেনার আনুষ্ঠানিক চুক্তি ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ সরকার। মহাকাশের ১১৯ দশমিক ১ পূর্ব দ্রাঘিমায় ২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ প্রায় ২১৯ কোটি টাকায় কেনা হয়েছে এ স্লট। এখানেই মহাকাশে ঘুরে ঘুরে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট বঙ্গবন্ধু-১ বাংলাদেশকে সেবা দিয়ে যাবে।
চুক্তি অনুসারে প্রাথমিকভাবে ১৫ বছরের জন্য অরবিটাল স্লট কেনা হয়েছে। তবে ১৫ বছর করে আরও দুবার চুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে। স্যাটেলাইটের মূল অংশ তৈরি, উৎক্ষেপণ, গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণ ও বিমার কাজ চলছে। এ স্যাটেলাইটে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার থাকবে, যার ২০টি বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে এবং বাকিগুলো ভাড়া দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পর বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া বাবদ বছরে ১৪ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হবে বলে সরকার আশা করছে।