ফ্রান্সের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরুর কিছুক্ষণ পরই ভোট দিতে দেখা গেছে প্রার্থীদের। তীব্র অনিশ্চয়তাময় এই নির্বাচনে প্রার্থী মোট ১১ জন। তবে প্রায় কাছাকাছি সমর্থন নিয়ে শীর্ষে রয়েছেন ৪ প্রার্থী।
উগ্র ডানপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট দলের প্রার্থী ও অন্যতম ফ্রন্টরানার ম্যারিন ল্য পেন ভোট দিতে যাওয়ার সময় প্রতিবাদ জানিয়েছেন কয়েকজন ‘টপলেস’ বিক্ষোভকারী। এই নারীবাদী ৬ কর্মীকে আটকও করেছে পুলিশ। তারা ল্য পেন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রা¤েপর মুখোশ পরে প্রতিবাদ প্রদর্শন করেন। তবে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী খুব দ্রুতই তাদেরকে পুলিশের ভ্যানে উঠিয়ে নেয়। এর কিছুক্ষণ পরই ওই ভোটকেন্দ্রে নির্বিঘেœ ভোটপ্রদান করেন।
বেশ কড়া নিরাপত্তার মধ্যে নির্বাচন চলছে। দেশজুড়ে ভোটকেন্দ্র পাহারা দিতে ৫০ হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে নির্বাচনের আরেক ফ্রন্টরানার মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রন উত্তর ফ্রান্সের উপক’লীয় শহর ল্য তোকেতে ভোট দিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী ব্রিজিটি ম্যাক্রন। সাবেক সমাজতন্ত্রী অর্থমন্ত্রী বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। ভোটারদের সঙ্গে সেলফিও তোলেন।
সমাজতন্ত্রী প্রার্থী বেনয়েট হ্যামন ও কড়া বামপন্থী প্রার্থী ফিলিপ পোটোও ভোট দিয়েছেন। প্রথম দফার এই ভোটাভুটিতে লড়ছেন ১১ জন প্রার্থী।
এর আগে নিজের নির্বাচনী আসন দক্ষিণাঞ্চলীয় ফ্রান্সের কোরেজে ভোট দিয়েছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ। গত বছর অলিখিত প্রথার ব্যত্যয় ঘটিয়ে নির্বাচনে পুনরায় লড়তে অস্বীকৃতি জানান তিনি। বর্তমানে তার সমাজতন্ত্রী দলের প্রার্থী বেনয়েট হ্যামন। কিন্তু হ্যামনের নাম শীর্ষ ৪ ফ্রন্টরানারের মধ্যে নেই। অপরদিকে ওঁলাদেকে বলা হচ্ছে তার দেশের আধুনিক ইতিহাসে সবচেয়ে অজনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট।
এর আগে আরেক ফ্রন্টরানার, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও রক্ষণশীল দলের প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া ফিলনের স্ত্রী তাদের গ্রামের এলাকায় ভোট দিয়েছেন। তবে তার সঙ্গে ফিলন ছিলেন না। কারণ, তিনি ভোট দিয়েছেন নিজের নির্বাচনী এলাকা প্যারিসে, যা বহু দূরে অবস্থিত। প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা সাধারণত নিজেদের স্ত্রীকে নিয়েই ভোট দেন।
ফিলন একটি আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত। এর সঙ্গে নাম এসেছে তার স্ত্রীরও। অভিযোগ রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে স্ত্রী ও সন্তানকে ভুয়া চাকরি দিয়ে রাষ্ট্রীয় তহবিল ছয়নয় করেছেন ফিলন।
এর আগে ভোট দিয়েছেন অন্যান্য প্রার্থীরাও।