আগামীকাল ৬ মে শনিবার ১৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য দিনব্যাপী পর্যটন শহর কক্সবাজার সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রকল্পগুলো হলো- দীর্ঘ প্রতীক্ষিত কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বড় আকারের ৭৩৭-৮০০ বোয়িং এয়ারক্রাফটের মুভমেন্টের জন্য কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ, কক্সবাজার আইটি পার্ক, নাফ ট্যুরিজম প্রকল্প এবং মহেশখালিতে দুইটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল সম্প্রসারণ।
বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এক জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্র একথা জানায়।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছে বড় আকারের ৭৩৭-৮০০ বোয়িং এয়ারক্রাফটের মুভমেন্টের জন্য বিমান বন্দরের সম্প্রসারিত রানওয়ে উদ্বোধন করবেন।
পরে সেখান থেকে তিনি ইনানি এলাকায় যাবেন। সেখানে তিনি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করবেন। সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ৮০ কিলোমিটার মেরিন ড্রাইভ নির্মাণ করেছে।
বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম থেকে ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে ছয়টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন করবেন।
প্রকল্পগুলো হলো কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, কক্সবাজার গভর্নমেন্ট গার্লস কলেজের ১শ’ আসনের ডরমেটরি, কক্সবাজার গভর্নমেন্ট কলেজের একাডেমিক ভবন-কাম-পরীক্ষা হল, কক্সবাজার গভর্নমেন্ট কলেজের ১শ’ আসনের ছাত্রীনিবাস, বঙ্গমাতা ফজিলাতুননেছা মুজিব কলেজের দুইতলা একাডেমিক ভবন, উখিয়া এবং মহেশখালি-আনোয়ারা গ্যাস সরবরাহ লাইন।
একইস্থানে শেখ হাসিনা কক্সবাজার সদর উপজেলার বাকখালি নদীর ওপর খুরু স্কুল ঘাটে ৫৯৫ মিটার পিসি বক্স-গার্ডার সেতু, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কক্সবাজার আইটি পার্ক, মহেশখালিতে এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেডের অধীনে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালিতে সামিট এলএনজি’র ভাসমান দ্বিতীয় এলএনজি টার্মিনাল, মহেশখালিতে সিঙ্গেল পয়েন্ট মরিন্ট (এসপিএম) প্রকল্প, নাফ ট্যুারিজম প্রকল্প, কুতুবদিয়া কলেজের একাডেমিক ভবন এবং কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অফিস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।
পরে শেখ হাসিনা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন।