ডিপিএলের অবশেষে ব্যাট হাসলো আশরাফুলের, সাথে রেলিগেশন থেকেও মুক্তি পেলো তার দল কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবকে ৭ উইকেটে হারিয়ে আসরের দ্বিতীয় জয় নিশ্চিত করলো কলাবাগান।
এদিকে, দারুণ প্রতিদ্বন্দীতাপূর্ণ আরেক ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে ১ রানের জয় পেয়েছে প্রাইম ব্যাংক। বিকেএসপি থেকে ফিরে আরো জানাচ্ছেন তারেক হাসান শিমুল।
এমন একটি প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় হয়ত ছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুল। তার জ্বলে উঠার দিনে জয় পেয়েছে তার দল কলাবাগান ক্রীড়া চক্র।
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় মাত্র ১৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে শেখ জামাল। মাঝে মাহবুবুল কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও দলীয় ৫৫ ও ব্যক্তিগত ৩২ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনিও।
এরপর ৩০ রানের ব্যবধানে আরো ৩ উইকেট হারিয়ে, লজ্জাজনক সংগ্রহের শঙ্কায় তখন ধানমন্ডির দলটি। তখনই তাদের ত্রাণ কর্তা হয়ে হাল ধরেন অধিনায়ক রাজিন সালেহ। সোহাগ গাজীর সঙ্গে ৫১ ও ইলিয়াস সানিকে সঙ্গে নিয়ে ৬৭ রানের দু’টি পার্টনারশিপ গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন তিনি। সোহাগ গাজী ৩৯ ও ইলিয়াস সানির ব্যাটে আসে অপরাজিত ৩৬ রান। বিপর্যয়ের মাঝে রাজিন সালেহ’র ৪৫ রানের দায়িত্বশীল ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ২১৩ রানের সংগ্রহ পায় জামাল।
জবাব দিতে নেমে তাসামুলের ৪৮ ও জসিমউদ্দিনের ২৯ রানে ভালো সূচনা পায় কলাবাগান। ৬২ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙলে ক্রিজে আসেন আশরাফুল। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফিরে নিজেকে নতুন করে প্রমাণে মরিয়া এই ব্যাটসম্যান খেলেন অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংস। সঙ্গে মেহরাব জুনিয়রের ৪৩ রানে ৭ উইকেটের জয় পায় কলাবাগান।
এদিকে, বিকেএসপি ৩ নম্বর মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে শ্বাসরুদ্ধর এক ম্যাচ। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে শেষ বলে মীমাংসা হয়েছে যে ম্যাচের ভাগ্য।
অধিনায়ক মেহেদী মারুফ ও শাহনাজ আহমেদের ৭০ রানের জুটিতে ভালো সূচনা পায় প্রাইম ব্যাংক। তবে, ১৮ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট তুলে নিয়ে ছোটখাট ধাক্কা দেয় ব্রাদার্সের বোলাররা। মারুফ ফেরেন ৫৮ রান করে। এরপর ইয়াশভারান ও জাকিরের ১১২ রানের পার্টনারশিপে লড়াইয়ের ভিত গড়ে প্রাইম ব্যাংক। ইয়াশভারান ৭০ ও জাকির করেন ৫২ রান।
জবাব দিতে নেমে জুনায়েদ সিদ্দিকীর ৫১ ও কাপালির ৪৬ রানে লড়াই চালিয়ে যায় ব্রাদার্স। মাঝে বিসলার ৫৭ আর মাইশুকুরের ৩৬ রানে জয়ের স্বপ্ন দেখতে থাকে তারা। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত মাত্র ১ রানের আক্ষেপটাই বড় হয়ে দাঁড়ায় ব্রাদার্সের জন্য।