আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনসমর্থন এখন সবচেয়ে কম। এমন তথ্য ওঠে এসেছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও জরিপ সংস্থা ইপসোসের জনমত জরিপের ফলাফলে। গেলো শুক্রবার এ জরিপের ফল প্রকাশিত  হয়েছে।ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় স্পর্শকাতর গোয়েন্দা তথ্য জানিয়ে দেয়া ও এফবিআইয়ের তদন্তে অনধিকার হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষিতে ১৪ থেকে ১৮ মে সময়ের মধ্যে জরিপটি করা হয়। এতে দেখা যায়, ৫৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক লোক ট্রাম্পের বিপক্ষে কথা বলেছে। অপরদিকে ৩৮ শতাংশ লোক তাকে সমর্থন জানিয়েছে। আর ছয় শতাংশ মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।গেলো সপ্তাহের শুরুতেই খবর প্রকাশ হয়, ট্রাম্প রাশিয়ার কূটনীতিকদের সঙ্গে একান্তে বৈঠক করার সময় অত্যন্ত গোপনীয় কিছু তথ্য তাদের জানিয়ে দিয়েছেন। এরপর সম্প্রতি ট্রাম্প কর্তৃক বরখাস্তকৃত এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক জেমস কোমি এক মেমোতে উদ্বেগ প্রকাশ করে লেখেন, ট্রাম্প শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত বন্ধ করতে প্রেসিডেন্ট তাকে চাপ দিয়েছিলেন।এসব ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ রাশিয়ার সঙ্গে ট্রাম্পের প্রচারণা শিবিরের যোগাযোগ নিয়ে স্বাধীন তদন্তের তদারককারী হিসেবে এফবিআইয়ের সাবেক পরিচালক রবার্ট মুলারকে নিয়োগ দেন।রাশিয়ার সঙ্গে গোপনে কোনো অশুভ আঁতাতের সঙ্গ জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে চলমান তদন্তকে ‘ডাইনি খোঁজা’বলে অভিহিত করেন ট্রাম্প। ইতিহাসে আর কোনো রাজনীতিকের সঙ্গে এর চেয়ে ‘খারাপভাবে’ও ‘অবিচারের’সঙ্গে আচরণ করা হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।যদিও রিপাবলিকান দলের সদস্যদের মধ্যে ট্রাম্প এখনও জনপ্রিয়, কিন্তু দলটির অনেক সাধারণ কর্মীই গেলো সপ্তাহে তাকে সমর্থন করা থেকে সরে দাঁড়িয়েছে বলে জরিপে ধারণা পাওয়া গেছে।সর্বশেষ জরিপে রিপাবলিকানদের মধ্যে ২৩ শতাংশ ট্রাম্পকে সমর্থন করেনি। কিন্তু গেলো সপ্তাহে দলটির মধ্যে তাকে সমর্থন না করা সদস্যদের হার ১৬ শতাংশ ছিল। ট্রাম্পের প্রতি রিপাবলিকানদের এ হঠাৎ বিরূপ হয়ে ওঠার কারণেই ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তার সামগ্রিক জনসমর্থন সবচেয়ে নিচে নেমে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।রয়টার্স/ইপসোসের এ জরিপটি অনলাইনে ইংরেজি ভাষায় আমেরিকাজুড়ে পরিচালিত হয়। এক হাজার ৯৭১ জন প্রাপ্তবয়স্ক লোক এতে অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে ৭২১ জন রিপাবলিকান ও ৭৯৫ জন ডেমোক্রেট।