প্রস্তুতি ম্যাচের পারফরম্যান্সের সুবাদে মূল দলে সুযোগ হয়েছিলো মুশফিকুর রহিমের। ২০০৫ সালের এই দিনে অর্থাৎ, ২৬ মে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করেছিলেন বর্তমান টেস্ট অধিনায়ক। সফরটা শুক্রবার ১২ বছরের মাইলফলক ছুঁয়ে দিলো।
অভিষেকের পর থেকে দলের হয়ে উইকেটের পিছনে, ব্যাট হাতে নির্ভরতার প্রতীক হয়ে থেকেছেন সবসময়। এই মুহূর্তে দলের অন্যতম সেরা ব্যাটিং অস্ত্র তিনি। ১২ বছরে দেশের হয়ে খেলেছেন ৫৪ টেস্ট, ১১২ ওয়ানডে ও ৫৯ টি-টোয়েন্টি।
টেস্ট দিয়ে অভিষেক হয়েছিলো মুশফিকের। ওই ম্যাচের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৯ ও তিন রান তোলেন বর্তমানে একই ফরম্যাটে বাংলাদেশের অধিনায়ক। ক্যারিয়ারের সর্বশেষ টেস্ট পর্যন্ত ৩২৬৫ রান তুলেছেন। রয়েছে পাঁচটি সেঞ্চুরি ও ১৭টি হাফ সেঞ্চুরি। ওয়ানডেতে মোট ৪২৩৫ রান সংগ্রহ করেছেন মুশফিক। রয়েছে একটি সেঞ্চুরি ও ২৪টি হাফ-সেঞ্চুরি। টি-টোয়েন্টিতে ৭২৫ রান তোলা মুশফিকের সর্বোচ্চ ৫০ রানের একটি ইনিংস রয়েছে।
অধিনায়ক হিসেবেও কম সফল নন মুশফিক। দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে টেস্টে এখন পর্যন্ত মোট ৩০ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। জয় পেয়েছেন ছয়টি ম্যাচে, ড্র নয়টিতে। তার অধিনায়কত্বেই চলতি বছর নিজেদের শততম টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে তাদের ঘরের মাঠে হারায় বাংলাদেশ। উইকেটের পিছনে সর্বোচ্চ ডিসমিসালও মুশফিকের (ওয়ানডেতে ১৭৮, টেস্টে ১০০ এবং টি-টোয়েন্টিতে ৪৬)।
মজার ব্যাপার হলো, মুশফিক ইংল্যান্ডের লর্ডসে প্রথম মাঠে নেমেছিলেন বাংলাদেশের হয়ে। কাকতালীয়ভাবে এই মুহূর্তেও ইংল্যান্ডেই অবস্থান করছেন তিনি। মিশনটা এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।