বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। ২৯ মে সোমবার সন্ধ্যার দিকে এই পূর্বাভাস জারি করে আবহাওয়া দফতর। এ ছাড়া মংলা ও পায়রা বন্দরে ৮ মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় মোরা’র প্রভাবে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে বেশি পানিতে প্লাবিত হয়েছে কক্সবাজারসহ দেশের উপকূলীয় এলাকা। গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের পর রোববার রাতে বঙ্গোপসাগরে প্রথম নিম্নচাপ সৃষ্টি হয়। পরে তা ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়ে মঙ্গলবার ভোর নাগাদ বাংলাদেশ উপকূল এলাকা অতিক্রম করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দশ নম্বর মহাবিপদ সংকেত যে অর্থ বহন করে
এই সংকেত প্রচারের পর প্রথম ও প্রধান কাজ হলো সম্পদের কী ক্ষতি হচ্ছে, সে চিন্তা না করে জীবন বাঁচানো৷
এই সময়ে আবহাওয়া এতই দুর্যোগপূর্ণ থাকবে যে, চলাচল করা খুবই কষ্টকর হবে৷
অল্প পথকে অনেক দূর বলে মনে হবে এবং অনেকসময় খারাপ আবহাওয়ার জন্য এই অল্প পথটুকু পার হওয়া বা অতিক্রম করা যায় না ৷
এ সময়ে চলাচল করা উচিত নয় বিশেষ করে পানি পথে ৷
এ সময়ে ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ এত বেশি থাকে যে কাছের কোনো বস্তুও দেখা যায় না৷ বৃষ্টির ফোটা শরীরে এত জোরে লাগে যে, মনে হয় বড় বড় ঢিল কিংবা বন্দুকের গুলি লাগছে৷
এ সময় বাতাস এত প্রবল থাকে যে গাছের ডাল, ঘরের টিন এ জাতীয় জিনিস বাতাসের প্রচণ্ড বেগে উড়তে থাকে৷ তাই আশ্রয়কেন্দ্রের বাইরে যাওয়া ও ঘোরাফেরা করা উচিত নয়৷
মহাবিপদ সংকেত দেয়ার আগে অথবা প্রথম অবস্থাতেই সময় নষ্ট না করে জীবন রক্ষার জন্য নিরাপদ স্থানে পৌঁছানো জরুরি৷
নিরাপদ স্থানে পৌঁছাতে না পারলেও কাছেই কোনো নারকেল কিংবা তাল অথবা শক্ত কোনো গাছে আশ্রয় নিতে হবে৷
মহাবিপদ সংকেত প্রদানের সাথে সাথে কেউ যদি নিরাপদ জায়গায় যেতে না চায়, তাদেরকে জোর করে কিংবা বল প্রয়োগ করে হলেও নেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে৷