যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় ঈদুল ফিতর উপলে শার্শা, বেনাপোল, নাভারণ ও বাগআঁচড়া সহ সংলগ্ন অঞ্চালের হাট বাজার ভারতীয় পণ্যে ভরে গেছে। বৈধ অবৈধ উভয় পথে আসছে এসব পণ্য। বেশির ভাগ পণ্যেই আসছে অবৈধ পথে। এসব অবৈধ পথে শুল্ক না দিয়ে আসছে শত শত কোটি টাকার পন্য। বিশেষ করে ঈদকে সামনে রেখে চলছে রমরমা এই পণ্য বানিজ্য। জেলা শহর সহ উপজেলার প্রতিটি বড় মার্কেট, বিপনি বিতান এখন অবৈধ ভারতীয় পণ্যের দখলে। লাখ টাকা দামের শাড়ি, লেহেঙ্গা, থ্রি পিস থেকে শুরু সব বয়সিদের শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, জুতা, সেন্ডেল প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। বাহারি নামের এসব পোষাকের চাহিদা ও লাভ অনেক বেশি হওয়ায় ব্যবসায়ীরা এসব পন্য মজুদ ও বিক্রিতে বেশি আগ্রহী। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসে এসব পণ্যের আগ্রাসারে চরমভাবে তিগ্রস্থ হচ্ছে দেশীয় শিল্প। এতে করে সরকার হারাচ্ছে শত শত কোটি টাকার রাজস্ব। সূত্রে জানা যায়, ঈদ উপলে এ বছর কয়েক হাজার কোটি টাকার পণ্য আমদানি হয়েছে। এর ৮৫ ভাগই ভারত থেকে এসেছে। কিন্তু এসব পণ্য বেশির ভাগই এসেছে অবৈধ পথে। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বিভিন্ন সীমন্ত দিয়ে অবাধে ঢুকছে ভারতীয় পন্য। আর এসব পণ্যের মূল্য পরিশোধ করা হচ্ছে হন্ডিতে। এভাবে কয়েক হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা দেশ থেকে পাচার হয়ে যাচ্ছে। জানা গেছে, শার্শা বেনাপোলের ১০-১৫ টি পয়েন্ট দিয়ে সড়ক ও নৈ পথে ভারতীয় ঈদ পণ্য দেশে ঢুকছে। এ সব পয়েন্ট থেকে কয়েকটি শক্তিশালি সিন্ডিগেট পণ্য পাচার নিয়ন্ত্রণ করে। পাচারকারী সিন্ডিগেট মাত্র কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন পণ্য কলকাতা থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৈাছে দিচ্ছে। এছাড়া সীমান্তের সব হাট বাজারে এখন ভারতীয় পোষাক প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। ঈদকে সামনে রেখে ভারতীয় কাপড় (ফেব্রিক্র), শাড়ি, থ্রি পিস, লেহেঙ্গা, ওড়না, পাঞ্জাবি, শাট, জুতা, বিভিন্ন ধরনের কসমেটিক পণ্য, আতোশ বাজি ও বিভিন্ন বিদেশী সিগারেটের চোরাচালান এখন তুঙ্গে। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে এসব চোরাচালান জব্দ করা হলেও যে পরিমান পণ্যপাচার হয় তা তার সিকি ভাগও নয়। কিন্তু অসাধু বিজিবি, আইনশৃংখলা বাহিনী সদস্য কর্মকর্তা, কর্মচারী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজস্বে চোরাচালানি সিন্ডিগেক অবৈধ ভাবে এসব পণ্য আনছে।