মো: আকরাম খাঁন: বর্তমান যুগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগ। আজ থেকে ৫০ বছর আগে মানুষ যা কল্পনা করতে পারে নি আজ তা বাস্তবিত। প্রতিদিন চিন্তাশীল মানুষরা পৃথিবীকে আরো সুন্দর ও নন্দিত করে সাজাতে অবিরামভাবে কাজ করে যাচ্ছে। মানুষের স্বক্ষমতা বেড়েছে বহুগুণে। পৃথিবীতে মানুষের আধিপত্ব অবাক করে তুলছে মানুষকেই। শুধু পৃথিবীতেই নয়, মানুষের প্রভাব পরেছে অন্যান্য গ্রহ-উপগ্রহে। বাংলাদেশ প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক অগ্রসর। দেশের গন্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক ভাবে বাংলাদেশীরা অবদান রেখে চলছে। এখন আর একটা চিঠির জন্য মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হয় না, মোবাইল কিংবা কম্পিউটারের বাটন টিপলেই মুহুর্তে প্রাপকের কাছে পৌচ্ছে যাচ্ছে। ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করে কিছু মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে আমাদের দেশে। দিনে দিনে এর সংখ্যা বেড়েই চলছে। এখন চাকুরীর খোঁজে দেশে বিদেশে হণ্য হয়ে ঘুরতে হয় না। ঘরে বসেই প্রযুক্তিগত কল্যাণে লক্ষ লক্ষ ডলার আয় করা সম্ভব!! আমাদের দেশের জনসংখ্যা, জন সম্পদ এবং জাতীয় সম্পদ এর কথা বিবেচনা করলে বলতে হয় তৈরী পোশাক শিল্পের পর এটাই আমাদের দেশের জন্য সবচেয়ে বড় আয়ের উৎস হতে যাচ্ছে। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য আমাদের দেশের নিম্নগতির ইন্টারনেট এর প্রধান বাধা। দেশের ৭০ শতাংশ লোক গ্রামে বাস করে। তারা এখনো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে অজ্ঞ বা খুবই স্বল্প জানে। আমাদের নতুন প্রজন্ম অবশ্য প্রযুক্তি ভিত্তিক ফ্রিল্যান্ডিং কাজ করতে অধিক আগ্রহী। দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর একটা বৃহত্তর অংশকে এ পেশায় জড়িত হওয়ার সুযোগ করে দিতে পারলে একদিকে দেশের সর্ববৃহৎ সমস্যা বেকার সমস্যা যেমন দুর্বিত হবে, তেমনি বাড়বে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পরিমাণ। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে, দেশে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত কাজে নিয়োগ করতে এখন দরকার দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে দূর্তগতির ইন্টারনেট। গ্রামের মানুষ আর শহরের মানুষ এই তফাৎ দূর করে সমতালে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ব্রন্ডব্যান্ডের লাইন সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে সরকারের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”এখন সময় বাংলাদেশের, এখন সময় এগিয়ে যাওয়ার”।