গাবতলী আন্তজেলা বাস টার্মিনালে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরমুখী মানুষের পদচারণে মুখরিত হয়ে ওঠে বাস টার্মিনাল। গতকাল বুধবার রাতে ঢাকার বাইরে থেকে বাসগুলো গাবতলীতে দেরি করে আসায় কিছুটা যাত্রীর ভিড় বেড়ে যায়। বাসগুলোও টার্মিনাল থেকে দেরি করে ছাড়ে। আজ সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস হওয়ায় অনেকেই বাড়ির পথে রওয়ানা হবেন। ২২ জেলায় যাতায়াতের এই রুটে গাড়ির চাপ বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগের আশংকা করছেন ঘরমুখী মানুষেরা।
অন্যদিকে ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ঢাকা-আরিচা ও আশুলিয়ার বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কে যানজন যেন আরো তীব্র আকার ধারণ করছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ঢাকা রেডিও কলোনী থেকে সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড ও থানা থেকে গেন্ডা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার যানজট দেখা দিয়েছে। এছাড়া ঢাকার বহিমুর্খি আরিচা মহাসড়কের আমিনবাজার থেকে মধুমতি পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির কারণে কোথাও কোথাও খানা খন্দের সৃষ্টি হওয়ায় যানবাহনগুলি ধীরগতিতে চলছে। অন্যদিকে সকাল থেকেই বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর মহাসড়কে ১২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। মহাসড়কে শত শত যানবাহনের দীর্ঘ গাড়ির লাইন দেখা গেছে। এতে চরম বিপত্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ।
এ বিষয়ে সাভার ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ আবুল হোসেন বলেন, কালিয়াকৈর ও চন্দ্রা থেকে যানবাহন না টানলে কালিয়াকৈর সড়ক থেকে যানজট দূর করা অসম্ভব হয়ে উঠবে। তবে পুলিশের একাধিক দল যানজট নিরসনে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
বেশ কয়েকটি কাউন্টারের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর ১২টার পর থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে চাপটা বাড়বে। আজই শেষ কর্মদিবস। অফিস থেকে বের হয়েই সবাই ঢাকা ছাড়বে বলে মনে করছেন তারা।
গাবতলীতে ট্রাফিক পুলিশ সহকারী কমিশনার রওশানুল হক বলেন, আমরা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত। এখন পর্যন্ত যাত্রী নিয়ে বাসগুলো নিয়ম মতোই ছাড়ছে। তবে পথে সাভার, নবীনগর এসব মোড়ে যদি যানজটের সৃষ্টি না হয়, তাহলে গাবতলীতে সময়মতো গাড়ি চলে আসবে।