ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা রহিমানপুর ইউনিয়নের লীপুর এলাকায় দুই চাচাতো বোনকে বিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অচেতন করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে এক পল্লী চিকিৎসক ও কবিরাজের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি মিমাংসার জন্য প্রভাবশালীরা চাপ সৃষ্টি ওই কিশোরির পরিবারকে।
বৃহস্পতিবার ভোর রাতে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণের অভিযোগে লীপুর এলাকার পল্লী চিকিৎসক নরেন চন্দ্র রায় ও কবিরাজ বালিশ্বর চন্দ্র রায়কে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের লীপুর এলাকার জনৈক দুই কিশোরীর পরিবারের সাথে একই এলাকার কবিরাজ বালিশ্বর চন্দ্র রায়ের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সুবাদে ওই দুই চাচাতো বোন কবিরাজ বালিশ্বরকে নানা বলে সম্মোধন করেন। কবিরাজ দীর্ঘদিন ধরে ওই দুই কিশোরীর বিয়ের জন্য পাত্র খুজতে থাকে।
গত বুধবার বিকেলে পরিকল্পিতভাবে পাত্র দেখার কথা বলে ওই দুই বোনকে কবিরাজ তার বাড়িতে আসতে বলেন। কবিরাজের পাত্র দেখার কথা অনুযায়ী পরিবার দুই কিশোরীকে পাঠিয়ে দেয় তার বাসায়। পরে কবিরাজ বালিশ্বর পাশের ভেলাজান এলাকার পল চিকিৎসক নরেন চন্দ্র রায়কে নিয়ে এসে চেতনা নাশক ইনজেকশন প্রয়োগ করেন ওই দুই কিশোরীকে। পরে পালাক্রমে কবিরাজ ও পল্লী চিকিৎসক ধর্ষন করেন। সকালে ওই দুই কিশোরীকে কবিরাজ বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য একটি অটো রিক্সায় উঠিয়ে দেয়। কিছুদূর যাওয়ার পর তারা আবারো জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
এলাকাবাসী অচেতন অবস্থায় তাদের পরিবারকে খবর দিলে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে দুই চাচাতো বোনকে ভর্তি করে। পরে কিশোরীদের কথা অনুযায়ী এলাকাবাসী কবিরাজ বালিশ্বর ও চিকিৎসক নরেনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তোভুগির পরিবার থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ টালবাহানা করছে বলে অভিযোগ করেছে কিশোরীর পরিবার।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জিন্নাহ পারভীন জানান, ওই দুই কিশোরীকে ধর্ষনের অভিযোগে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ডাক্তারি পরীা সম্পন্ন হয়েছে। রিপোর্ট পেলেই বুঝা যাবে ধর্ষন হয়েছে কি না।
সদর থানার উপ-পরিদর্শক মো: হানিফ জানান, ধর্ষনের অভিযোগে দুইজনকে জনগণ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের স্বীকারোক্তি অনুযায়ি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান জানান, ওই দুই কিশোরি আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।