পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকী আর মাত্র ৩ দিন। এদিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী-ঈদগড় সড়কে হিললাইন নামক মিনি সার্ভিস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ঈদে ঘরমুখো মানুষ পড়েছে চরম দূর্ভোগে। এ যেন বিখ্যাত সেই গানের প্রথম কলি “এই জ্বালা আর প্রাণে সহে না”। ঠিক তেমনি ভাবে এই সড়কটি নিয়ে অন্তরজা¡লায় পুড়ছে বাইশারীবাসী।
প্রতিনিয়ত ডাকাত এবং অপহরনকারীর ভয় কাজ করে এই সড়কে। এছাড়া হিললাইন সার্ভিস চালক-হেলপারের বকুনি, সিএনজির অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। বাইশারীর মানুষদের একমাত্র চলাচল পথ হওয়ায় নিরবে সহ্য করতে হচ্ছে এসব দু:খ-দূর্দশা।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, সড়কের ভোমরিয়াঘোনা ও গজালিয়া এলাকায় অসম্পূর্ণ ব্রীজ এবং লাগাতার বর্ষনে বিকল্প সড়ক বাস চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ায় হিললাইন নামক মিনিবাস সার্ভিস চলাচল বন্ধ রয়েছে। বাধ্য হয়ে যাত্রীদেরকে টমটম, সিএনজি, জিপ দিয়ে ভাঙ্গা রাস্তায় চলাচল করতে হচ্ছে। খানাখন্দে পরিপূর্ণ রাস্তার গাড়ীর ঝাকুনিতে জখমও হচ্ছে যাত্রীরা। তাছাড়া সঠিক সময়ে নির্দিষ্ট জায়গায় পৌঁছতে পারছেনা যাত্রীরা। অপরদিকে ভাড়াও দিতে হচ্ছে দিগুন।
শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসাইন বাইশারী-ঈদগড় সড়কে হিললাইন সার্ভিস বন্ধ থাকার খবরটি শুনার পর বাধ্য হয়ে গর্জনীয়া সড়ক দিয়ে বাইশারী আপন নিবাসে আসার চেষ্টা করছেন। তাতে অতিরিক্ত ভাড়া পোহাতে হচ্ছে তার।
গত মঙ্গলবার চিকিৎসা নিতে যাওয়া মাওলানা মোঃ তাহের জানায়, হিললাইন সার্ভিস বন্ধ থাকায় বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে সিএনজি দিয়ে খুব কষ্ট করে যেতে হয়েছে।
বাইশারী বাজারের মুদি দোকান ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম জানায়, সড়কের দুই জায়গায় বিচ্ছিন্ন হওয়ার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য গাড়ী করে আনতে দ্বিগুন খরচ গুণতে হচ্ছে। স্থানীয় সংবাদকর্মী মুফিজুর রহমান জানায়, সড়কটি পুরোপুরি সংস্কার না হওয়ায় ভাঙ্গা স্থানে থেমে থেমে গাড়ী গুলো চলাচল করতে হয়। যার কারণে পড়তে হচ্ছে ডাকাত এবং অপহরকারীদের কবলেও। তাছাড়া মহিলারা পুরুষদের ভীড়ে অনেক সময় গাড়ীতে উঠতে না পেরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে অপো করতে হচ্ছে ঘন্টার পর ঘন্টা। কবে নাগাদ এ সমস্যা শেষ হবে তা সঠিক জানা যায়নি।
হিললাইন সার্ভিস ব্যবস্থাপক মোঃ ইউসুফ জানায়, সড়কটির দুই জায়গায় গাড়ী চলাচলে অনুপযোগী হওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে হিললাইন সার্ভিস বন্ধ করে দিয়েছেন। তবে জন-সাধারণ শীগ্রই সড়কে পুনরায় হিল লাইন বাস গুলো চালানোর জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন জানান।