পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে রাজশাহী ফিরছেন বিপুল সংখ্যক মানুষ। তাদের নিরাপত্তা দিতে পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বুধবার থেকে বাড়তি নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে।
রাজশাহী-ঢাকা রুটে ছয় বছর পর ঈদ স্পেশাল ট্রেন থাকছে। বৃহস্পতিবার (২২ জুন) দুপুর থেকে এ ট্রেন চলাচল শুরু করবে। তাই রেলপথে যেনো কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে এবং শিডিউল বিপর্যয় না হয় সেজন্য বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে রাজশাহী রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে ঈদ উপলক্ষে রেল যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকি করা হচ্ছে। রেলস্টেশনে বসানো সিসি টিভি ক্যামেরায় চলছে মনিটরিং।
এছাড়া জিআরপি পুলিশের টহলের পাশাপাশি কাজ করছে রেলের নিরাপত্তাকর্মীরাও। কাউকে সন্দেহ হলেই দেহ ও মালপত্র তল্লাশি করা হচ্ছে। টিকিট ছাড়া কাউকে প্লাটফর্মে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের সুপারিনটেন্ডেন্ট জিয়াউর রহমান জানান, আগাম টিকিট বিক্রি চলছে। তাই এবারই প্রথম রেলওয়ে স্টেশনে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়েছে। তারা সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করছেন। জিআরপি পুলিশ ছাড়াও বিজিবি সদস্যরা পাহারায় নিযুক্ত রয়েছেন।
টিকিট কালোবাজারি, পকেটমার, অজ্ঞানপার্টিসহ দুষ্কৃতিকারীদের হাত থেকে রেলওয়ে যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে পশ্চিম রেলওয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছেন।
ঈদে যাত্রীদের বাড়তি ভিড় সামাল দিতে বৃহস্পতিবার থেকে রাজশাহী-ঢাকা রুটে ঈদ স্পেশাল ট্রেন সার্ভিস চালু হবে। এছাড়াও কর্মস্থলমুখো যাত্রীদের চাপ সামলাতে এরই মধ্যে ২৮টি বাড়তি কোচ সংযোজন করা হয়েছে।
জিয়াউর রহমান জানান, এবার ঈদে পশ্চিম রেলের যাত্রীদের নিরাপদ ভ্রমণের জন্য সিসি ক্যামেরায় মনিটরিং ছাড়াও থাকছে বিশেষ টহল। রেল স্টেশনের নিরাপত্তায় রেল পুলিশ, জিআরপি পুলিশের পাশাপাশি পর্যবেক্ষণে থাকছেন বিজিবি ও র্যাব সদস্যরাও। টিকিট কালোবাজারি, প্রতারণা, যাত্রী হয়রানিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে তারা কাজ করবেন।
এছাড়া যাত্রাকালীন দুর্ঘটনা এড়াতে পর্যবেক্ষণ চলছে রেলপথেও। বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে পশ্চিমাঞ্জল রেলওয়েতে থাকা ঝুকিপূর্ণ সেঁতুগুলো।
তিনি বলেন, এবার আগে থেকেই রেললাইন নিয়মিত সংষ্কার ও পর্যবেক্ষণ কাজ শেষ হয়েছে। তাই ঈদের বাড়তি চাপেও বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা নেই। তবে ঈশ্বরদী-উল্লাপাড়া সেকশনের কৈডাঙ্গা ও শান্তাহার-জয়পুরহাট সেকশনের হলহলিয়া ব্রিজ দু’টি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) খায়রুল আলম বলেন, ঈদ মওসুমে শেষ মুহূর্তে যাত্রীদের চাপ কয়েকগুণ বেড়ে যায়। এজন্য দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকে। তাই এবার দুর্ঘটনার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।