ঈশ্বরদী হতে অপহরণকৃত তিন জন পথশিশুকে ঈশ্বরদী পুলিশ উদ্ধার করেছে। সেইসাথে অপহরণকরাী ২ নারীসহ ৫ জন গ্রেফতার হয়েছে।
রবিবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় এক প্রেস ব্রিফিংএ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জহুরুল হক জানান, গত ২৩শে জুন ঈশ্বরদীর পৌর এলাকার এম এস কলোনী হতে ভারতে পাচারের উদ্দ্যেশে একটি সংঘবদ্ধ অপহরণকারী চক্র ৩ জন পথ শিশুকে অপহরণ করে। এই শিশুরা গরীব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির পরিবারের সন্তান। অপহৃত শিশুরা হলো জিম(১১) , জিম(৯) এবং শাহিন(১১)। হেরোইন সেবী আসামীরা মাদকের টাকার জন্য এসব শিশুদের অপহরণ করে ভারতের সীমান্তে দালালদের মাধ্যমে পাচার করে বলে তিনি জানান।
গত ২৩শে জুন এসব শিশু নিখোঁজের বিষয়ে ঈশ্বরদী থানায় অভিযোগ করা হলে পুলিশ তৎপরতা শুরু করে। এব্যাপারে বিভিন্ন থানায় তথ্য প্রেরণ করা হয়। পুলিশ মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে জানতে পারেন এরা নওগাঁ জেলার আত্রাই থানায় অবস্থান করছে। এ অবস্থায় আত্রই থানার সহযোগীতা নিয়ে গত ২৪শে জুন ভরতেঁতুলিয়া ষ্টেশন পাড়া এলাকার একটি দোকানে বসা অবস্থায় শিশুসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। পরে আত্রই থানার নিয়ম কানুন পালন করে ২৫শে জুন তাদের ঈশ্বরদীতে আনা হয়।
আটককৃত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের বর্ণনা দিয়ে পুলিশ কর্মকর্তা জহুরুল হক বলেন, এসব শিশুদের তারা ২৩ হাজার টাকায় বিক্রি করে। এর আগে তারা বগুড়া, যশোহর বিভিন্ন স্থান থেকে বাচ্চা চুরি করেছে বলে জানিয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে গরীব ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির ৮ হতে ১২ বছর বয়সী পথ শিশুদের প্রলোভন দিয়ে অপহরন করে ভারতে পাচার করে, তার পরের ইতিহাস অজানা। গরীব বাবা মা হারানো জিডি করে কিন্তু ছেলে আর ফিরে আসে না। তিনি দৃঢ়তার সাথে বলেন, কিন্তু এখন হতে আর এমন হবে না, আমরা হতে দিব না, পুরো গ্যাংটাকে গ্রেফতার করব ইনশাআল্লাহ।
আটককৃত অপহরণকারীরা হলো রুবেল ওরফে সাদ্দাম ওরফে মুন্না ওরফে নিরব (২৬), রেজাউল (২১), সুমন (১৯), সালমা (২০)ও রাবেয়া (৩৫)।