জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ৬ই জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় গতকাল তদন্ত কর্মকর্তাকে (আইও) জেরা করেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। অসমাপ্ত জেরা শেষে পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য এ দিন (৬ই জুলাই) ধার্য করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা এই দুই মামলায় হাজিরা দিতে গতকাল রাজধানীর বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে সকাল ১০টা ৪৪ মিনিটে হাজির হন খালেদা জিয়া। বিচারিক কার্যক্রম শেষে দুপুর ১টার কিছু পরে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন তিনি। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও এই মামলার ৩২ নম্বর সাক্ষী হারুনুর রশিদকে এর আগে গত ১৫ই জুন ও ২২শে জুন অসমাপ্ত জেরা করেন খালেদার আইনজীবীরা। এর আগে দুটি মামলায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় খালেদা জিয়ার আত্মপক্ষ সমর্থন ও আসামির পরীক্ষা পর্যায়ে থাকাবস্থায় গত ৮ই জুন হারুনুর রশিদকে রিকল করে জেরার আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন। গতকাল খালেদার পক্ষে তার আইনজীবী আবদুর রেজাক খান ও মো. আমিনুল ইসলাম সাক্ষীকে জেরা করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ২০১১ সালের ৮ই আগস্ট একটি মামলা দায়ের করে দুদক। ২০১২ সালের ১৬ই জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এ মামলায় খালেদা জিয়া ছাড়াও তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়। অন্যদিকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩রা জুলাই রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে ২০১০ সালের ৫ই আগস্ট খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেয়া হয়। ২০১৪ সালের ১৯শে মার্চ এ মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।