ঠাকুরগাঁও জেলায় ভুয়া সাংবাদিকের ছড়াছড়ি। গাড়িতে প্রেস লিখে চাঁদাবাজি ও মাদকের ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিনে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও শহর ও বিভিন্ন উপজেলার গইউনিয়নে মটরসাইকেলে প্রেস লিখে সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন বেশ কিছু ভুয়া সাংবাদিক। এরা কারা? অনেকে দৈনিক ও সাপ্তাহিক, অনলাইন পত্রিকার আইডি কার্ড সংগ্রহ করে সাংবাদিকের পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছেন। আসলে তারা কি সাংবাদিক না সাংঘাতিক? অনেক মহলের প্রশ্ন। অনেককে পুলিশ প্রশাসনের ছত্রছায়ায় দেখা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, একটি পরিচয়পত্রের মেয়াদ পার হওয়ার পর কম্পিউটারে ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে সেখানে কার্ডের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে এরাই আসল সাংবাদিক। এতে প্রকৃত সাংবাদিকদের মান ক্ষুণ্ন হচ্ছে। কেউ শিক্ষক, কেউবা বাসের হেলপার, আবার কেউ চাকরিজীবী। অনেকে ঠিকাদার ও ছোট ব্যবসায়ী। এরা সাংবাদিকের মান ক্ষুণ্ন করে নিজেরা ফায়দা লুটতে ও নিজেকে সাংবাদিকের পরিচয় জাহির করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।
তারা সমাজে ভাল মানুষ সেজে প্রভাব বিস্তার করতে চায়। সাংবাদিকের পরিচয়পত্র নিয়ে অনেকে দূরপাল্লার গাড়িতে হেলপারি করতে গিয়ে মাদকের ব্যবসা করছেন। এছাড়াও ঠাকুরগাঁও শহরে ব্যাঙের ছাতার মতো সাংবাদিকের ছড়াছড়ি হয়েছে। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এরা প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে ও শহরে সাধারণ মানুষকে ফাঁদে ফেলে ও নারী লেলিয়ে দিয়ে হয়রানি করছে ও নিজেরা ফায়দা লুটছে।
এদিকে ওই সাংবাদিক পরিচয় বহনকারী ভুঁইফোঁড় সাংবাদিকরা স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কয়েকজন ব্যক্তির সাথে সখ্য গড়ে তুলে দালালিপনা করতে দেখা যায়। এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহল ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।