অবসর ও কল্যাণ খাতে অতিরিক্ত চার শতাংশ কর্তনের প্রতিবাদে নীলফামারীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে সম্মিলিত বেসরকারী স্কুল কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগড়ি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীবৃন্দ। শুক্রবার(৩০শে জুন) দুপুরে শহরের মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের আহবায়ক মশিউর রহমান ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ সারওয়ার মানিক। এ ছাড়াও বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সদস্য সচিব খোকারাম রায়, বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও চওড়া বড়গাছা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুধীর রায়, চাঁদেরহাট ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম, শিমুলবাড়ি বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাহেদ আলী, টেংগনমারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মাহবুবার রহমান প্রমুখ।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষা মন্ত্রনালয় বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরী শিক্ষক কর্মচারীদের মুল বেতন হতে অবসর ও কল্যাণ খাতে অতিরিক্ত চার শতাংশ কর্তনের প্রজ্ঞাপন জারী করেছে। অতিরিক্ত অর্থ কর্তনের কথা বলা হলেও ওই দুই খাতে শিক্ষক কর্মচারীদের সুবিধা বাড়ানো হয়নি। এমন হঠকারী সিদ্ধান্তে শিক্ষক কর্মচারী গোটা সমাজ আজ ব্যথিত, ক্ষুদ্ধ ও হতাশ হয়ে পড়েছেন।
তারা আরো বলেন, ‘আমরা দুই যুগ ধরে কল্যাণ খাতে মুল বেতনের দুই শতাংশ ও অবসর খাতে চার শতাংশ চাঁদা প্রদান করে আসছি। যার বিনিময়ে অবসরের পরে আমাদেরকে কল্যাণ খাত ২৫ মাসের এবং অবসর খাতে ৭৫ মাসের মুল বেতনের সমপরিমান অর্থ প্রদান করা হবে মর্মে বিধিমালা করা হলেও এখনো বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। বরং একজন শিক্ষক কর্মচারী অবসরে যাওয়ার চার পাঁচ বছরেও তার ন্যয্য পাওনা বুঝে পাচ্ছেন না।’
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত চার শতাংশ বেতন কর্তনের প্রজ্ঞাপন বাতিলের দাবি জানান শিক্ষক কর্মচারীরা।
পাশাপাশি ২০১৬ সালের জুলাই মাস থেকে মুল বেতনের পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেণ্ট, পুর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা চালু, সরকারীদের সমপরিমান বৈশাখী ও চিকিৎসা ভাতা চালু, সম্মানজনক হারে বাড়ি ভাড়া ও চাকুরী জাতীয়করণের দাবি জানান এসময়।